28 C
Dhaka
সোমবার, মে ১৯, ২০২৫

হাজার কোটি টাকা ‘আত্মসাৎ’ এর অভিযোগ : এস আলমের বিরুদ্ধে ২ মামলা করবে দুদক

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

 

খবরের দেশ ডেস্ক:

ঋণের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আলোচিত শিল্প গ্রুপ এস আলমের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এর মধ্যে একটি মামলার আসামির তালিকায় তার সঙ্গে ৩৬ জনকে; আরেকটিতে ৩০ জনকে রাখা হয়েছে।

সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজির আহমেদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

একটি মামলায় ‘সাফরান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের’ নামে প্রায় ৫৪৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে নামসর্বস্ব এ কোম্পানির নামে ৫৪৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এতে মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ ৩৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে ঋণের জন্য ব্যাংকটির শাখা থেকে জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ে বিনিয়োগ প্রস্তাব পাঠানো হয়। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের জুবলি রোড শাখা থেকে মেসার্স সাফরান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নামে বাই মুরাবাহা (হাইপো) বিনিয়োগের জন্য ৭২ কোটি এবং এলসি সীমা ৮০ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ঋণ দেওয়ার সময় গ্রাহকের হালনাগাদ সিআইবি নেওয়া হয়নি, ঠিকানা যাচাই করা হয়নি, হালনাগাদ বীমা পলিসি ও ট্রেড লাইসেন্সও নেওয়া হয়নি। আত্মসাতের পরিমাণ ৫৪৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এস আলম গ্রুপের কিছু প্রতিষ্ঠানের হিসাবেও স্থানান্তরিত হয়ে মানি লন্ডারিং অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।

এ মামলায় এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ছাড়াও আসামি করা হয়েছে সাফরান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মাহফুজুল ইসলাম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ছুটিতে) সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী, অবসরপ্রাপ্ত উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল কুদ্দুস, বিনিয়োগ প্রশাসন বিভাগের প্রধান (অবসরপ্রাপ্ত) ইভিপি এস.এ.এম সলিমুল্লাহ, ইনভেস্টমেন্ট মনিটরিং বিভাগের প্রধান (অবসরপ্রাপ্ত) ইভিপি মো. মহসিন উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) কাজী ওসমান আলী, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (পদত্যাগপত্র দাখিল করা) মোহাম্মদ মোস্তফা খায়ের, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ হাবিব হাসনাত, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জহুরুল হক, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রাক্তন) মো. মাসুদুর রহমান শাহ, বিনিয়োগ প্রশাসন বিভাগের প্রধান (অবসরপ্রাপ্ত) ইভিপি ইকরাম উল্লা, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইএডি বিভাগের প্রধান সৈয়দ আনিছুর রহমানকে।

বিবাদী করা হয়েছে ব্যাংকটির আন্তর্জাতিক বিভাগের ইভিপি (অবসরপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমেদ, বিনিয়োগ মনিটরিং বিভাগের এসভিপি (অবসরপ্রাপ্ত) এ কে এম আবু ছসীর চৌধুরী, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (পদত্যাগপত্র দাখিলকৃত) মো. আলমগীর হোসেন, আন্তর্জাতিক বিভাগের এসইভিপি এস এম আজহারুল ইসলাম, ইনভেস্টমেন্ট মনিটরিং বিভাগের ভিপি (অবসরপ্রাপ্ত) মো. ইফতেখার উদ্দিন, ইভিপি (পদত্যাগপত্র দাখিলকৃত) কায়সার ইমতিয়াজ, ট্রেজারি বিভাগের ইভিপি মো. মাসুদ পারভেজ এবং এসএমই ও কৃষি বিনিয়োগ বিভাগের ইভিপি সাফায়েত আহমেদ চৌধুরীকেও।

আসামির তালিকায় আছেন প্রাক্তন আইএডি প্রধান ও এসভিপি মো. নাছিম গাওহার, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ইভিপি আলী নাহিদ খান, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের প্রাক্তন এসভিপি কাজী লতিফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উত্তর আঞ্চলিক প্রধান ও প্রাক্তন এসভিপি মো. ওয়াহিদুর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর আঞ্চলিক প্রধান ও প্রাক্তন ইভিপি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, খাতুনগঞ্জ শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক ও এসভিপি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন (অপসারিত), জুবলী রোড শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক ও এসএভিপি মোহাম্মদ জাবেদ মোরশেদ (ছাড়পত্রপ্রাপ্ত) এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক ও এসভিপি আব্দুল্লাহ আল নোমান (অপসারিত)।

এ মামলায় আসামি করা হয়েছে জুবলি রোড শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও ভিপি মোহাম্মদ আমির হোসাইন (চাকুরিচ্যুত), একই শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও এসএভিপি মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ (অপসারিত), এভিপি মোহাম্মদ মোকতার হোসাইন (ছাড়পত্রপ্রাপ্ত), আইসিএন্ডসি বিভাগের এসএভিপি মোশাররফ উদ্দীন, আন্দরকিল্লা শাখার এসএভিপি ফারজানা শাম্মি, খুলনা জোনাল অফিসের এসএভিপি আরিফুল হক চৌধুরী এবং জুবলী রোড শাখার এভিপি ফারহানা নিগার চৌধুরী।

আরেকটি মামলায় মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজের নামে ৫৫৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দ্বিতীয় মামলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আলমগীর হুদার যোগসাজশে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ঋণ অনুমোদন করা হয়। এ মামলায় আসামির তালিকায় রয়েছেন ৩১ জন।

২০১৬ সালের নভেম্বরে মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজের নামে আন্দরকিল্লা শাখায় বাই মুরাবাহা (হাইপো) বিনিয়োগ সীমা ৫০ কোটি এবং এলসি সীমা ৫৫ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়। ঋণ দেওয়ার সময় হালনাগাদ সিআইবি, ঠিকানা যাচাই, বীমা পলিসি, ট্রেড লাইসেন্স, ল-ইয়ার সেটিসফেকসন সার্টিফিকেট নেয়া হয়নি।

ঋণের পর থেকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আন্দরকিল্লা শাখা থেকে ইউনিয়ন ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ভেনাস ট্রেডিংস লিমিটেট, রিজেনেবল ট্রেডার্স লিমিটেড, আব্দুল আওয়াল অ্যান্ড সন্স লিমিটেড, ইউনিয়ন প্যাসিফিক সোর্স অ্যান্ড ট্রেড ইত্যাদি নামসর্বস্ব কোম্পানির অনুকূলে টাকা স্থানান্তর করা হয়। পরে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩০ কোটি টাকা এস আলম গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়, যা মানিলন্ডারিং হিসেবে ধরা হয়েছে।

এ মামলার আসামির তালিকায় রয়েছেন এস আলম গ্রুপ ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আলমগীর হুদা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ছুটিতে) সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জহুরুল হক, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ হাবিব হাসনাত, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুল আজিজ, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা খায়ের, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) কাজী ওসমান আলী এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রাক্তন) মো. মাসুদুর রহমান শাহ।

আসামি হিসেবে আছেন ইভিপি ও বিভাগীয় প্রধান (অবসরপ্রাপ্ত) ইকরাম উল্লা, ভিপি ও আইএডি প্রধান (প্রাক্তন) সৈয়দ আনিছুর রহমান, ইভিপি ও বিভাগীয় প্রধান (অবসরপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমেদ, এসভিপি ও বিভাগীয় প্রধান (অবসরপ্রাপ্ত) এ. কে. এম. আবু ছগীর চৌধুরী, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইনভেস্টমেন্ট ডিভিশনের প্রধান মো. আলমগীর হোসেন, এসইভিপি ও আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান এস. এম. আজহারুল ইসলাম, ভিপি ও বিভাগীয় প্রধান (অবসরপ্রাপ্ত) মো. ইফতেখার উদ্দিন, ইভিপি ও বিভাগীয় প্রধান কায়সার ইমতিয়াজ, ইভিপি ও বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ, ইভিপি ও বিভাগীয় প্রধান সাফায়েত আহমেদ চৌধুরী, এসভিপি ও প্রাক্তন আইএডি প্রধান মো. নাছিম গাওহার, ইভিপি ও বিভাগীয় প্রধান আলী নাহিদ খান।

এ মামলায় প্রাক্তন এসভিপি ও চট্টগ্রাম উত্তর আঞ্চলিক প্রধান মো. ওয়াহিদুর রহমান, প্রাক্তন ইভিপি ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধান মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, এসএভিপি (ছাড়পত্রপ্রাপ্ত) ও জুবলী রোড শাখার প্রাক্তন ম্যানেজার মোহাম্মদ জাবেদ মোরশেদ, এসএভিপি (অপসারিত) ও প্রাক্তন অপারেশন ম্যানেজার মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ, আন্দরকিল্লা শাখার এসএভিপি ও সাবেক অপারেশন ম্যানেজার ফারজানা শাম্মি, এভিপি ও সাবেক অপারেশন ম্যানেজার ফারহানা নিগার চৌধুরী, এসএভিপি ও প্রাক্তন ম্যানেজার মোহাম্মদ জোবাইর হোসেন, আন্দরকিল্লা শাখার এফএভিপি মোরশেদুল আলম, এফএভিপি সেলিম উল্লাহ এবং এভিপি (অপসারিত) সৈয়দা নাজমা মালেককেও আসামি করা হয়েছে।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

কাশিমপুর কারাগারে নুসরাত ফারিয়া

  বিনোদন ডেস্কঃ অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয়...