Your Ads Here 100x100 |
---|
মোস্তফা কামাল মামুন,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
মাদকদ্রব্যের নির্মুলে এবং সাঞ্জুয়ারভিটা মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক অংঙ্গসংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ।
মঙ্গলবার (২০ মে) নাগেশ্বরী উপজেলা গেটসংলগ্ন কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী মহাসড়কে এ মানববন্ধন পালিত হয়। এতে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “মাদক আজ সমাজে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যুবসমাজকে ধ্বংসের অন্যতম ভুমিকা রাখছে মাদকদ্রব্য । এ থেকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও রক্ষা করা জরুরি। মাদক ব্যবসায়ীরা এখন সমাজের সচেতন মানুষদের ভয় দেখাতে এবং আন্দোলন দমিয়ে দিতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তাদের এসব ষড়যন্ত্রমূলক মামলাকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং প্রশাসনের কাছে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
বক্তারা আরও বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই যদি মিথ্যা মামলার শিকার হতে হয়, তবে সাধারণ মানুষ কীভাবে নির্ভয়ে কথা বলবে? আমরা চাই একটি মাদকমুক্ত, নিরাপদ, ন্যায়ের সমাজ। প্রশাসনের উচিত প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া।”
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন—নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম রসুল রাজা, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা আব্দুল মান্নান,
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি হারীসুল বারী রনি, ক্বওমী-ওলামা সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নজরুল ইসলাম, বণিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক হাজী সোহেল, পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম,
উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি জেলাল হোসেন, ইশা ছাত্র আন্দোলনের থানা সভাপতি আক্তারুজ্জামান আব্বাসী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা আহ্বায়ক মেহেদী হাসানসহ আরও অনেকেই।
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা প্রশাসন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে তারা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন ও মিথ্যা মামলার দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান।
স্থানীয়দের মতে, নাগেশ্বরীর সমাজে মাদকের প্রভাব মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণও সচেতন না হলে এই ভয়াবহতা রোধ করা সম্ভব নয়। আজকের এই কর্মসূচি প্রমাণ করে, মানুষ এখন আর ভয় পায় না—তারা তাদের অধিকার ও ন্যায়বিচারের জন্য ঐক্যবদ্ধ।