Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এক সময় ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। রাজনীতিতে তাঁর উত্থান যেমন আলোচিত, তেমনি নানা বিতর্কে তিনি ছিলেন সমালোচিত। এক সময় মতলব অঞ্চলে তাঁর শাসন ছিল ‘একক নিয়ন্ত্রণে’। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, তিনি ছিলেন এক জীবন্ত আতঙ্ক। তাঁর কথাই ছিল আইন, তাঁর সিদ্ধান্তই ছিল চূড়ান্ত। অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদারি, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে নির্বাচন—সবই চলত তার ‘পার্সেন্টেজ ভিত্তিক রাজত্বে’।
জানা গেছে, তাঁর সহকারী মামুনের মাধ্যমে সব ধরনের আর্থিক লেনদেন পরিচালিত হতো, আর সেসব নগদেই পৌঁছাত মায়ার কাছে। মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে, যেখানে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বহাল তবিয়তে চলেছে উত্তোলন। অভিযোগ আরও আছে, তাঁর পরিবার ও অনুসারীরা স্থানীয় জনগণের জমি দখল, চাঁদাবাজি, এমনকি গুম ও হত্যার মতো অপরাধে জড়িত।
দুর্নীতির প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ঢাকার গুলশান, উত্তরা, পুরান ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, এমনকি বিদেশেও রয়েছে তাঁর বিপুল সম্পদ। স্ত্রী, সন্তান, নাতি-নাতনিদের নামে লন্ডন, কানাডা, আমেরিকা, মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ে রয়েছে বাড়ি, ফ্ল্যাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তারেক সাঈদের স্ত্রী ও মায়ার কন্যা রিয়া চৌধুরীর নামও উঠে এসেছে আলোচিত ‘নারায়ণগঞ্জের ৭ খুন’ মামলার সূত্র ধরে।
একসময় মন্ত্রীত্ব পাওয়ার পর তাঁর ক্ষমতার বিকাশ ঘটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। সেই সময় থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, লুটপাট ও দখলবাজির অভিযোগ বাড়তে থাকে। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মায়ার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। খুদে বার্তা দিয়েও মেলেনি উত্তর।