Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা গেছে, ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন এক সময় এই তথ্য সামনে এলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তির সম্ভাব্য আলোচনায় জড়িত। বিষয়টি সিএনএনকে নিশ্চিত করেছে একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা।
জানা গেছে, ইসরাইলের এমন সম্ভাব্য পদক্ষেপ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নীতির সঙ্গে একটি বড় ধরনের মতপার্থক্যের ইঙ্গিত দেয়। মার্কিন কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের হামলা আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে গাজা যুদ্ধের পর থেকে যেখানে যুক্তরাষ্ট্র স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সচেষ্ট।
তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি তেলআভিভ। মার্কিন প্রশাসনের মধ্যেও হামলা হবে কি না—তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ইসরাইলের সিদ্ধান্ত অনেকটাই নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পারমাণবিক আলোচনার ফলাফলের ওপর।
এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার সম্ভাবনা অনেক বেড়েছে। তিনি বলেন, “যদি চুক্তির আওতায় ইরান তার ইউরেনিয়াম কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ না করে, তাহলে ইসরাইলের হামলার সম্ভাবনা আরও জোরালো হবে।”
সিএনএন আরও জানায়, ইসরাইলি সামরিক তৎপরতা, বার্তা আদান-প্রদান ও গোপন কথোপকথনের ওপর নজর রেখে এই গোয়েন্দা মূল্যায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া ইসরাইল এরই মধ্যে বিমান মহড়া চালিয়েছে এবং যুদ্ধ উপকরণও প্রস্তুত করেছে বলে জানা গেছে। যদিও কেউ কেউ বলছেন, এটি হয়তো কূটনৈতিক চাপ তৈরির কৌশল মাত্র।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করা এক পশ্চিমা কূটনীতিক জানান, ওয়াশিংটন ইরানের সঙ্গে আলোচনা সফল করতে ‘মাত্র কয়েক সপ্তাহ’ সময় দিতে চায়। ব্যর্থ হলে সামরিক বিকল্পও খোলা থাকবে বলে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জোনাথন পানিকফ বলেন, “এটি ইসরাইলকে এক জটিল অবস্থায় ফেলেছে। নেতানিয়াহু একদিকে ট্রাম্প প্রশাসনকে চাপে রাখছেন, অন্যদিকে তাদের বিরক্ত করতেও চাইছেন না। তবুও শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে মার্কিন অবস্থানের ওপর।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া ইসরাইলের পক্ষে এককভাবে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করা কঠিন। তবে যদি যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের দৃষ্টিতে ‘অগ্রহণযোগ্য’ কোনো চুক্তিতে পৌঁছায়, তাহলে তেলআভিভ একতরফা পদক্ষেপ নিতেও পিছপা হবে না।