Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
চাল সংকটে জর্জরিত জাপানে বিতর্কিত মন্তব্য করে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন দেশটির কৃষিমন্ত্রী তাকু ইতো। ‘আমি কখনো চাল কিনি না, কারণ আমি তা বিনামূল্যে পাই’—এমন মন্তব্যে তীব্র জনরোষ সৃষ্টি হলে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
বার্তা সংস্থা এএফপি ও ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, জাপানে চলমান খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে কৃষিমন্ত্রীর এ বক্তব্য সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। বিরোধীদল থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকরাও মন্তব্যটিকে বাস্তবতা বিবর্জিত ও অগ্রহণযোগ্য বলে আখ্যা দেন।
গত সপ্তাহে এক সমাবেশে ইতো বলেন, “আমার সমর্থকরা এত বেশি চাল উপহার দেন যে, চাইলে আমি তা বিক্রিও করতে পারি।” পরবর্তীতে তিনি ব্যাখ্যা দেন, বক্তব্যটি কিছুটা বাড়িয়ে বলা হয়েছে এবং তার স্ত্রী চাল কিনে থাকেন। তবে তা জনগণের আস্থার পুনরুদ্ধারে যথেষ্ট ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী ইশিবা ইতো’র মন্তব্যকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, কৃষিমন্ত্রীর কাজই হলো চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা। এ অবস্থায় মঙ্গলবার ইতো পদত্যাগ করেন এবং ইশিবা তা গ্রহণ করেন।
ইতোমধ্যে ইতো’র জায়গায় নতুন কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দেশটির সাবেক পরিবেশমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি (৪৪)। প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, কোইজুমি সংকট মোকাবেলায় ‘শক্তিশালী নেতৃত্ব’ দেখাবেন।
এদিকে, গত কয়েক মাসে জাপানে চালের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২৩ সালে উষ্ণ আবহাওয়ার প্রভাবে ধানের ফলন হ্রাস পায়, অন্যদিকে ভূমিকম্পের সময় অতিরিক্ত চাল মজুতে বাজারে ঘাটতি তৈরি হয়। সরকার মজুত থেকে বাজারে চাল ছাড়লেও তাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
জনপ্রিয়তা হারাতে থাকা ইশিবার সরকার এই সংকটকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন। নতুন মন্ত্রীর ওপর চাপ থাকবে দ্রুত সমাধান দেওয়ার