Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্ক :
পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নগর ভবনের সামনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।
বুধবার (২১ মে) ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারজানা ববির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ১৮ মে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার জন্য ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে মোবাইল ফোনে কল করেন। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তাকে আইনের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই বলে জানান ও বোঝানোর চেষ্টা করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে গুলশান-২-এর নগর ভবনের সামনে কিছু লোক নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ডিএনসিসি প্রশাসকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে বলে অভিযোগ করে ডিএনসিসি। যাতে ডিএনসিসির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
এ বিষয়ে নুরুল হক নুর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজতো জনগণের ভয়ে অফিসে যাচ্ছেন না তিন-চারদিন। তার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খানের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাওহীদের অর্থের যোগানদাতা ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘সে (মোহাম্মদ এজাজ) সিটি করপোরেশনকে একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলায় এখন আমার নামে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। এসব তথ্য বিভ্রান্তিকর। দুর্নীতি এবং জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত এমন একজন লোক সিটি করপোরেশনে থাকা মানে সরকারের ইমেজের জন্য ক্ষতিকর। সে জায়গা থেকে আমরা তার অপসারণের জন্য আন্দোলন করছি। শুধু গণঅধিকার পরিষদ আন্দোলন করছে না। ডিএনসিসির কর্মচারী, বিএনপি কর্মীরাও আন্দোলন করছেন। জঙ্গিবাদের সাথে যুক্ত একজন কোন ক্রাইটেরিয়ায় প্রশাসক হয়, বুঝে আসে না।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। দাবি বাস্তবায়িত না হলে আগামী শনিবার (২৪ মে) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
সমাবেশে ফারুক হাসান বলেন, ‘২০১৮ সাল পর্যন্ত ডিএনসিসি প্রশাসক এজাজ নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় নেতা ছিলেন। শুধু নেতা বললে ভুল হবে, প্রথম সারির নেতা ছিলেন। হিযবুত তাহরীর করার কারণে একাধিকবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগসাজশ করে কারাগার থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগ করেছেন।