Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
অপসারণের কোনো বিষয় নেই, জসীম উদ্দিন নিজেই পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চান বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বুধবার (২১ মে) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাম্প্রতিক ইস্যুতে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা জানান। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পররাষ্ট্র সচিব জসীম নিজেই এই অবস্থান থেকে সরে যেতে চান। তার দায়িত্ব পরিবর্তন হবে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই উনি দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন।
এদিকে প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশেষ সহকারী সুফিউর রহমানের দায়িত্বে পরিবর্তন আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনকে সরিয়ে দেয়ার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয় গেছে, সাময়িক রুটিন কাজ পরিচালনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) ড. মো. নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বাহরাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। নতুন সরকার গঠনের মাস খানেকের মাথায় তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে সরকার। তার স্থলে নতুন পররাষ্ট্র সচিব করা হয় তৎকালীন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দিনকে।
তার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের ১২ ডিসেম্বর। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকে একটি দেশের রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব দিলেও তিনি নিজ সিদ্ধান্তে পূর্ণাঙ্গ সময় চাকরি শেষ না করেই ছুটিতে যাচ্ছেন।
চীনে রাষ্ট্রদূত হওয়ার আগে জসীম উদ্দিন কাতার এবং গ্রিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ত্রয়োদশ ব্যাচের কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন নয়াদিল্লি, টোকিও, ওয়াশিংটন ডিসি এবং ইসলামাবাদেও বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অনুবিভাগের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কনস্যুলার পরিষেবায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনায় রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাস ২০১৮ সালে জনপ্রশাসন পুরস্কার পান।