Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে জমে উঠেছে দেশের কামারশিল্প। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় মুসলমানরা ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দেন, আর সেই পশু জবাইয়ের জন্য প্রয়োজন হয় দা, ছুরি, চাপাতি, বটির মতো ধারালো অস্ত্র। ফলে ঈদকে সামনে রেখে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলের কামারপাড়াগুলো এখন ব্যস্ততায় মুখর।
যশোর, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম, শেরপুরসহ দেশের নানা অঞ্চলের কামারশালাগুলোতে দিনরাত কাজ করছেন কারিগররা। কেউ তৈরি করছেন নতুন দা, ছুরি; কেউ আবার পুরোনো যন্ত্রে দিচ্ছেন ধার। কামারশালার লাল আগুনে পুড়ছে লোহা, আর টুংটাং শব্দে তৈরি হচ্ছে ঈদের প্রস্তুতি। যশোর সদরের রূপদিয়া বাজারের বাবুল কর্মকার বলেন, “এই সময়টাতেই কিছু আয়-রোজগার হয়। সারা বছর আমাদের তেমন কাজ থাকে না।”
ভৈরবের রানীর বাজার, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ও ফিরিঙ্গি বাজার এবং শেরপুরের বিভিন্ন কামারপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিরলস পরিশ্রম করছেন কারিগররা। কেউ আসছেন চাপাতি কিনতে, কেউ বা পুরোনো দা-বটি ধার দিতে। এখন চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১২০০ টাকায়, ছুরি ১৫০ থেকে ১০০০ টাকা, আর মাংস কাটার ডাসা ২০০০ টাকায়।
যদিও আধুনিক যন্ত্রপাতির কারণে কামার পেশার কদর কমেছে, তবে কোরবানির ঈদে এখনো এই হস্তশিল্পের আলাদা গুরুত্ব আছে। শেরপুরের মস্তোফা মিয়া বলেন, “সারা বছর এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করি। লাভও হয় সবচেয়ে বেশি এই মৌসুমে।”
ঈদের আগমনী বার্তায় কামারশালার টুংটাং শব্দ তাই শুধু কাজের নয়, এটি হয়ে উঠেছে একটি ঐতিহ্যের প্রতীক, যা আজও বেঁচে আছে পরিশ্রমী মানুষের ঘামে ভেজা হস্তশিল্পে।