Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যেসব নদীর ওপর ভারতের অধিকার রয়েছে, সেসব নদী থেকে পাকিস্তান আর পানি পাবে না। গত ২২ এপ্রিল কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট হামলার পর পরই ভারত সিন্ধু নদ পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করে এবং মোদি এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে ‘চড়া মূল্য’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
কাশ্মিরে ২২ এপ্রিল একটি বন্দুকধারী হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি হয়। হামলার বেশিরভাগ শিকার ছিলেন হিন্দু পর্যটক। হামলার পর পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে ভারত সিন্ধু নদ পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই চুক্তি অনুযায়ী, পাকিস্তান ভারত থেকে আসা তিনটি নদীর মাধ্যমে তার কৃষি জমির ৮০ শতাংশ পানি পায়। তবে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন, চুক্তি স্থগিত হলেও তাৎক্ষণিকভাবে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।
নরেন্দ্র মোদি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, “প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলার জন্য পাকিস্তানকে চড়া মূল্য দিতে হবে.. পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে এই মূল্য দিতে হবে। পাকিস্তানের অর্থনীতি এই মূল্য দেবে।” মোদির এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্যের পর, ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু নদ পানি চুক্তি স্থগিত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। যদিও যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর সীমান্তে শান্তি বিরাজ করছে, মোদি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্তব্যের মাধ্যমে ভারত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
জয়শঙ্কর বলেছেন, “যদি ২২ এপ্রিলের মতো আরেকটি হামলা ঘটে, আমরা তার জবাব দেব। সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে হামলা চালানো হবে।” পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ৭৫ বছরের বেশি সময় ধরে কাশ্মির নিয়ে বিবাদে রয়েছে। এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতির ফলে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যেমন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত এবং সীমান্ত বন্ধ করা। কাশ্মিরের পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তান ও ভারত একে অপরকে বিভিন্নভাবে দায়ী করে আসছে।
পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হতে পারে, কারণ ভারত তার নিরাপত্তা বাহিনীকে আরও শক্তিশালীভাবে প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে দুই দেশের মধ্যস্থতায় শান্তি স্থাপনের চেষ্টা চলছে।
সূত্র: রয়টার্স