Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ডামি নির্বাচন ও ভোট চুরির অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি বাদী নিজেই প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। নানামুখী চাপ ও নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে মামলা করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বুধবার আদালতে তা প্রত্যাহারের আবেদন করেন তিনি। তবে প্রত্যাহার বিষয়ে পরবর্তী ধার্য তারিখের আদেশ দেন আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু রায়হান খান বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মোট ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে গত সোমবার (১৯ মে) এ মামলা করা হয়। আদালত ভূঞাপুর থানার ওসিকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় বুধবার বাদী আদালতে এসে মামলাটি প্রত্যাহারের দরখাস্ত দিয়েছেন। বিচারক রুমেলিয়া সিরাজাম বাদীর জবানবন্দি নিয়ে রেখেছেন। আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখে প্রত্যাহার বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।
মামলার বাদী কামরুল হাসান (৫৫) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ভারই গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে। তিনি ভূঞাপুরের অলোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।মামলায় উল্লেখিত বাদীর ফোন নাম্বারে বারবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
পরে বাদীর বরাত দিয়ে অ্যাডভোকেট আবু রায়হান খান বলেন, মামলা দায়েরের পর বাদী কামরুল হাসান পারিবারিকসহ নানামুখী চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়া তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এজন্য মামলা পরিচালনা করতে অপারগতা জানিয়ে তিনি তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন।
গত সোমবার মামলাটি দায়েরের পর সর্বত্র ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। তবে মামলা দায়েরের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বাদী কেন তা প্রত্যাহার করে নিলেন এ নিয়েও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, মামলা দায়েরের পর ঢাকার উত্তরায় বিএনপির এক নেতার বাসায় মঙ্গলবার কয়েক দফা বৈঠক হয়। সেখানেই মামলাটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের আয়োজন এবং ভোট চুরির অভিযোগে কামরুল হাসান সোমবার (১৯ মে) এ মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী আব্দুল আওয়ালসহ ১৯৩ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ২০০ জনকে। মামলায় পাঁচজন সাংবাদিক ও একজন আইনজীবীর নামও রয়েছে আসামির তালিকায়।
এছাড়া পুলিশ ও প্রিসাইডিং অফিসার, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।