29 C
Dhaka
শুক্রবার, মে ২৩, ২০২৫

ভারতকে রুখে দেওয়া নায়ক ফুটবলকে বিদায় জানালেন

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

 

স্পোর্টস ডেস্কঃ

১৫ অক্টোবর ২০১৯, বাংলাদেশ ফুটবল ইতিহাস গড়ার খুব কাছে চলে গিয়েছিল সেদিন। ভারতের মাটিতে তাদেরই হারিয়ে দেওয়া থেকে ২ মিনিটের দূরত্বে ছিল দল। শেষমেশ ১-১ ড্র করেছিল বাংলাদেশ, সেও মন্দ ফলাফল কীসে?

সেই অবিস্মরণীয় ম্যাচের অন্যতম এক নায়ক ছিলেন আশরাফুল ইসলাম রানা। তিনি আজ ফুটবলকে বিদায় বলছেন। মোহামেডানের বিপক্ষে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্লাভসজোড়া তুলে রাখছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।

ক্যারিয়ারে শেষ বারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেখানে উঠে এসেছিল বাংলাদেশ দলের হয়ে সেরা স্মৃতির কথা। রানার সেরা স্মৃতি হয়ে আছে ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচই।

তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে কলকাতার সল্টলেকে ৬০ হাজার ভারতীয় দর্শকের সামনেই ভারতের সঙ্গে ড্র করে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের সেই ম্যাচটিই আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সুখের স্মৃতি।’

সে ম্যাচে তিনি খেলেছিলেন বেশ ভালো। শুরুর দিকে সুনীল ছেত্রীর শট ঠেকিয়েছিলেন, এরপর আরও বারদুয়েক দলকে রক্ষা করেছেন দারুণ কিছু শট ঠেকিয়ে। বাংলাদেশ যে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচে জয় দেখছিল, তার কৃতিত্বটা তারও কম ছিল না।

তবে জাতীয় দলের হয়ে শেষ এক দশকে সবচেয়ে বাজে অভিজ্ঞতারও সাক্ষী হয়ে আছেন এই রানা। ২০১৬ সালে ভুটান ট্র্যাজেডির ম্যাচেও শুরুর একাদশে ছিলেন তিনি। সে ম্যাচে হেরে বসায় ১৪ মাসের নির্বাসনে চলে যেতে হয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবলকে। সে স্মৃতি তার সবচেয়ে বাজে স্মৃতি হয়ে আছে এখনও।

ভারতকে রুখে দেওয়া নায়ক ফুটবলকে বিদায় জানালেন
ভারতকে রুখে দেওয়া নায়ক ফুটবলকে বিদায় জানালেন

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে কষ্টের ২০১৬ সালে ভুটানে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে–অফে হেরে যাওয়া। সেই হারের পর বাংলাদেশ ১৪ মাসের বেশি আন্তর্জাতিক ফুটবলের বাইরে ছিল।’

অবসরটা জাতীয় দলের কোনো এক ম্যাচ দিয়েই নিতে চেয়েছিলেন রানা। তবে সেটা হয়নি বলে আক্ষেপ আছে খানিকটা। তিনি বলেন, ‘২০২৩ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে ডাক পেতাম। যদিও সেই সময় জিকোই খেলেছে। তখন মনে হয়েছিল, জাতীয় দল থেকে আনুষ্ঠানিক অবসরের ঘোষণা দিই। যাতে নতুনরা সুযোগ পায়। কোচকে বলেছিলাম, কিন্তু সেই সুযোগটা হয়ে ওঠেনি। এ নিয়ে খানিকটা আক্ষেপ রয়েছে তাই ক্লাব পর্যায়েই আনুষ্ঠানিকভাবে করছি।’

লিগ সূচিতে আরও বাকি থাকবে ১ ম্যাচ। তার আগেই বিদায়টা কেন বলছেন? সে প্রশ্নের জবাবে রানা ফিরে গেলেন অতীতে। মোহামেডানের হয়ে অভিষেক হয়েছিল তার। সে কারণে মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচটাকেই বেছে নিলেন নিজের শেষ ম্যাচ হিসেবে। তিনি বললেন, ‘মোহামেডানের হয়ে আমার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু। শেষ ম্যাচটা মোহামেডানের সঙ্গেই খেলতে চাই। আবার মোহামেডান এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাই মোহামেডানের ম্যাচ দিয়েই ইতি টানছি ক্যারিয়ারের।’

২০০৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ফুটবলার জীবন শুরু তার। ২০১৪ সালে সে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। বনে যান পুরোদস্তুর ফুটবলার। ২০১৫ সালে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক। পরের বছরই অধিনায়কের আর্মব্যান্ডটা পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও সেটা খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি আর।

২০২২ সালে সবশেষ ম্যাচটা খেলেছিলেন বাংলাদেশের হয়ে। এরপর দলে ডাক পেয়েছেন বটে, কিন্তু মাঠে নামা হয়নি আর। সেটা আর হবেও না। ফুটবলকেই যে আজ বিদায় বলে দিচ্ছেন আশরাফুল ইসলাম রানা।

 

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

গুজবে কান দেবেন না : আইএসপিআর

 খবরের দেশ ডেস্ক : সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর লোগো ব্যবহার করে একটি ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।...