Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
দেশের রাজনীতিতে যখন একের পর এক সংকেতপূর্ণ ঘটনা ঘটছে, তখনই গভীর রাতে ফেসবুকে কুরআনের একটি আয়াত পোস্ট করে আলোচনায় এলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন-“نَصْرٌ مِّنَ اللَّهِ وَفَتْحٌ قَرِيبٌ”
বাংলায় যার অর্থ: “আল্লাহর সাহায্য এবং বিজয় নিকটবর্তী।” এটি কুরআনের সুরা ‘সফ’-এর ১৩ নম্বর আয়াত।
সংক্ষিপ্ত হলেও এই পোস্টটি সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে দ্রুতই ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে যখন অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ, অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন এবং বিভক্তির জটিল আবহ বিরাজ করছে। এই পোস্টকে অনেকেই দেখছেন একটি আশাবাদী ও সংকল্পবদ্ধ বার্তা হিসেবে।
একই দিন সন্ধ্যায় ফেসবুকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি লেখেন,দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য অনিবার্য। আগেকার যেকোনো বিভাজনমূলক বক্তব্যের জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সরকারে আর এক দিনও থাকলে অভ্যুত্থানপন্থী সব শক্তির প্রতি সম্মান ও সংবেদনশীলতা রেখে কাজ করতে চাই।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশের শত্রুরা ঐক্যবদ্ধ ও আগ্রাসী। সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো হুমকির মুখে। এ পরীক্ষায় জয়ী হতে হলে দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহও বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে লেখেন—“যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, তা দেশের স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে। পতিত ফ্যাসিবাদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”তিনি সতর্ক করেন, “আমরা যদি খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাই, তবে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের তছনছ করে দেবে।”
প্রেস সচিব শফিকুল আলমের গভীর রাতে পোস্ট করা কুরআনের আয়াত এবং অন্য দুই উপদেষ্টার বার্তা—এই তিনটি ঘটনাই চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বহুমাত্রিক তাৎপর্য বহন করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি কেবল ধর্মীয় বা ব্যক্তিগত উপলব্ধির প্রকাশ নয়; বরং এটি গভীর রাষ্ট্রীয় সংকটে আত্মবিশ্বাস, সংযম ও ঐক্যের আহ্বান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই স্ট্যাটাসগুলো ঘিরে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়াও তীব্র। অনেকেই মনে করছেন, দেশে একটি নতুন রাজনৈতিক ঐকমত্যের প্রয়োজনীয়তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।