28 C
Dhaka
সোমবার, জুন ১৬, ২০২৫

আ’লীগ নেতাদের ঠিকানা জঙ্গি-সন্ত্রাসীর ‘১০ সেল’

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সবচেয়ে পুরোনো ‘১০ সেল’। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১০ জনকে এখানে রাখা হতো। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর এটি ‘আওয়ামী সেল’ তকমা পেয়েছে।

ভয়ংকর সব অপরাধীকে অন্যত্র সরিয়ে ১০ সেলে রাখা হচ্ছে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি, মেয়র, কাউন্সিলরসহ শীর্ষ নেতাদের। ৩৬ বর্গফুট আয়তনের একেকটি সেলে রাখা হচ্ছে দু’জনকে।

 

বর্তমানে ১০ সেলে আছেন– চট্টগ্রাম-১০ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-১৬ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক এমপি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, ফেনী-৩ আসনের সাবেক এমপি রহিমুল্লাহ, ফটিকছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র মুহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, সাবেক কাউন্সিলর জহিরুল আলম জসিম, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজসহ অন্তত ১২ জন।

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এরই মধ্যে ১০ সেলে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন রাউজানের সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী, টেকনাফের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি, নোয়াখালীর সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী। অন্য মামলায় ঢাকা, নোয়াখালী ও কক্সবাজারে থাকলে, চট্টগ্রাম কারাগারে এলে তাদের এখানেই রাখা হয়।

কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ইকবাল হোসেন সমকালকে বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে, বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারার মামলায় প্রতিদিন আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠাচ্ছেন আদালত। যেসব আসামির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে, তাদেরই আমরা ১০ সেলে রাখছি। বর্তমানে এখানে অন্তত তিনজন সাবেক এমপি রয়েছেন। সেলটিতে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মনিটর করা হয়। কারারক্ষীরা বন্দিদের ওপর নজর রাখেন।

এক সময় যুবলীগের সন্ত্রাসী দীপক দত্ত ভোলা, শামীম উদ্দিন, নাছির উদ্দিন ওরফে শিবির নাছির, বিধান বড়ুয়া, জঙ্গি কার্যক্রমে ২৪৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী জাবেদ ইকবালসহ অনেকে ১০ সেলে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন।

জানা যায়, জঙ্গি, মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া কয়েদি এবং শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে পুরুষ বন্দিদের চট্টগ্রাম কারাগারের ১০ ও ৬৪ সেল ভবনে রাখা হয়। একই ধরনের নারী আসামির জন্য পাঁচটি সেল রয়েছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে সেলগুলোতে ১০ গুণ বেশি বন্দি রয়েছেন। জায়গার সংকুলান না হওয়ায় প্রথমে ১০ সেল ও ৬৪ সেল থেকে বান্দরবানের ১০৩ কেএনএফ সন্ত্রাসীকে বিশেষ ওয়ার্ড তৈরি করে সেখানে স্থানান্তর করা হয়।

প্রতিটি সেলের সঙ্গে সংযুক্ত টয়লেট ও ফ্যান সুবিধা রয়েছে। ১০ সেল ভবনটি সাধারণ বন্দি ওয়ার্ড ভবন থেকে একটু দূরে। সাধারণ বন্দিরা ১০ ও ৬৪ সেলের আশপাশে হাঁটাচলা করতে পারেন না।

কারাগারের জেলার মাসুদ হাসান জুয়েল বলেন, ‘১০ সেলে আগে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও ভয়ংকর আসামি ছিলেন। এখানকার বন্দিদের ৬৪ সেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে রাজনৈতিক স্পর্শকাতর আসামিদের ১০ সেলে রাখা হচ্ছে।’

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

ইসরায়েলি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক বিদেশে কীভাবে কাজ করে?

বিভিন্ন সময় বিদেশের মাটিতে টার্গেট করে চালানো বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নাম এসেছে। বিশেষ করে এসেছে তাদের গোয়েন্দা...