Your Ads Here 100x100 |
---|
ইসরায়েলের তেল আবিবে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে অগ্নিসংযোগের চেষ্টার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির দ্বৈত নাগরিকত্বধারী এক ব্যক্তিকে নিউ ইয়র্কে গ্রেপ্তার করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। ২৮ বছর বয়সী অভিযুক্ত জোসেফ নিউমায়ারকে গতকাল রবিবার (২৫ মে) জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে আটক করা হয়।
মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে, মোলোটভ ককটেল ব্যবহার করে জোসেফ দূতাবাসে হামলার চেষ্টা করেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সহিংস উসকানিমূলক বার্তা ছড়ান। চলতি বছরের গত মাসে নিউমায়ার ইসরায়েল যান এবং গত সপ্তাহে তেল আবিবে মার্কিন দূতাবাসের ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন।
ভবনের বাইরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে তিনি একটি ব্যাকপ্যাক ফেলে পালিয়ে যান। ব্যাগটি তল্লাশি করে তিনটি ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়, যা মোলোটভ ককটেল হিসেবে পরিচিত। পরে ইসরায়েলি পুলিশ তাকে একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে। জোসেফ তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘তেল আবিবে দূতাবাস পুড়িয়ে দেওয়ার সময় আমার সাথে যোগ দিন।
আমেরিকার মৃত্যু, আমেরিকানদের মৃত্যু এবং পশ্চিমাদের মৃত্যু।’ এ ছাড়া তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জোসেফ দাবি করেছেন, তিনি ‘অ্যাটলাস লাইট কোম্পানি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। যদিও এই কোম্পানির প্রকৃতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তার পোস্টগুলিতে আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে।
গতকাল রবিবার (২৫ মে) নিউইয়র্কের আদালতে হাজির করা হয় তাকে। তিনি বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। দোষী প্রমাণিত হলে তার ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে বিচার বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি বলেন, ‘এই আসামীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলে আমাদের দূতাবাসে হামলার ষড়যন্ত্র, আমেরিকান নাগরিকদের হত্যার হুমকি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল বলেন, ‘এই ধরনের সহিংস ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড দেশের ভেতরে হোক বা বাইরে, কোনোটাই বরদাস্ত করা হবে না। আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে মিলে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনব।’
এই গ্রেপ্তারের ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন কয়েকদিন আগেই ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মী গুলিতে নিহত হন। নিহতরা হলেন ইয়ারন লিশিনস্কি ও সারাহ লিন মিলগ্রিম। ক্যাপিটাল ইহুদি জাদুঘরের বাইরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় তারা হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ইলিয়াস রদ্রিগেজকে গ্রেপ্তার করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হামলার সময় ইলিয়াস ‘মুক্ত, মুক্ত ফিলিস্তিন’ বলে চিৎকার করছিলেন। এই ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং এই হামলাকে ‘ভয়াবহ ইহুদি-বিদ্বেষী হত্যাকাণ্ড’ বলে নিন্দা জানান।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া