Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের ভাবনার পর উদ্ভূত সংকট নিরসনে দলটি সক্রিয়ভাবে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করেছে।
গত বৃহস্পতিবার এক অনির্ধারিত বৈঠকে ড. ইউনূস তাঁর পদত্যাগের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেন, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ করলে বিষয়টি আরও গুরুত্ব পায়। এরপর দেশি-বিদেশি নানা মহল ও রাজনৈতিক শক্তিগুলো তৎপর হয়ে ওঠে।
এই সংকটকালে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করেন। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় শুরু হয় যোগাযোগ ও সমন্বয়ের উদ্যোগ। দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “চলমান সংকটটি মূলত আস্থার অভাব থেকে সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি, এনসিপি, ইসলামিক দল, অন্তর্বর্তী সরকার ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি।”
তিনি জানান, সংকটের মূল ছিল নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ও নির্বাচনকালীন সংস্কার প্রশ্ন। “আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, আপনার দায়িত্ব সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। তার জন্য একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ জরুরি। একমাস কম বা বেশি নিয়ে মানুষের আপত্তি থাকবে না,” বলেন ডা. তাহের।
তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর মাঝেও নির্বাচনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ ছিল। তাদের সঙ্গেও সংলাপে বসে সব পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জামায়াতের বিশ্বাস, মধ্যস্থতার মাধ্যমে সংকট নিরসন সম্ভব এবং সবাইকে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন আয়োজন করাই এখন সবচেয়ে জরুরি।