27 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মে ২৯, ২০২৫

সচিবালয়ে প্রবেশে ‘বাধা’ ইস্যু : বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নিন্দা প্রকাশ

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
খবরের দেশ ডেস্ক :
সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে সচিবালয়ের কর্মচারীদের আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলেছে, সম্প্রতি মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ও অসাংবিধানিক ‘কালো আইন’ বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় সচিবালয়সহ গোটা বাংলাদেশে সরকারী কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ‘বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’ তাদের আন্দোলনের প্রতি নৈতিক সমর্থন ও একাত্মতা ঘোষণা করেছে।
সাবেক সচিব ও বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সদস্যসচিব কাজী মেরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘আজ মঙ্গলবারও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন চলমান রাখেন।
তাঁদের প্রতি নৈতিক সমর্থন জ্ঞাপনের জন্য ঐক্য ফোরামের সিনিয়র কর্মকর্তারা বৈধ পাসসহ সচিবালয়ে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশ তাঁদের সচিবালয়ে প্রবেশে বাধা প্রদান করে। এ ঘটনায় আমরা তীব্র ঘৃণা, নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি। এই বিধিবহির্ভূত নিষেধাজ্ঞার জন্য আমরা স্বরাষ্ট্রসচিবের ব্যাখ্যা দাবি করছি।’

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ‘বিতর্কিত’ উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুদারের অনৈতিক সহযোগিতায় মন্ত্রিপরিষদসচিব শেখ আব্দুর রশিদ, জনপ্রশাসনসচিব মো. মোখলেস উর রহমান ও স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান।

তাঁরা নিজেদের বিগত ফ্যাসিস্ট আমলের নির্যাতিত ও বঞ্চিত কর্মকর্তা হিসাবে দাবি করলেও গত ১৬ বছর স্বৈরাচারবিরোধী কোনো আন্দোলনে তাদের দেখা যায়নি। 

এতে আরো বলা হয়, স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে তাদের স্বৈরাচারীবিরোধী কোনো ভূমিকা বা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্তির পরপরই তারা জুলাই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে বিপথে পরিচালিত করতে শুরু করে। অন্তর্বর্তী সরকারকে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার লক্ষ্যে জনস্বার্থবিরোধী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্ধুদ্ধ করে।

ফ্যাসিস্ট দোসরদের রক্ষা ও প্রতিষ্ঠিত করা জন্যে বিভিন্ন অপকৌশল প্রয়োগ করে। প্রতিনিয়ত জনপ্রশাসনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, আন্তঃক্যাডার ও আন্তঃগোষ্ঠী দ্বন্দ্বকে উৎসাহিত করে যাচ্ছে। তাদের অদক্ষতা, পক্ষপাতিত্ব ও স্বজন তোষণ নীতির কারণে ১০ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও সরকার প্রশাসনে স্বীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না। তাদের অদক্ষতা ও দুরভিসন্ধিমূলক বিভিন্ন অপকর্মের কারণে দেশে-বিদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের মানসম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আমরা বর্ণচোরা এই ৩ জন সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
 

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

মিডিয়াতে একজনের জন্য দশজনের নাম খারাপ হয়: কেয়া পায়েল

  বিনোদন ডেস্কঃ ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কেয়া পায়েল। একাধিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে...