30.1 C
Dhaka
রবিবার, জুন ২২, ২০২৫

রয়টার্সে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

 

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। পাঠকদের জন্য মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি হুবহু তুলে ধরা হলো।নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে নানাবিধ অস্থিরতা ও বিভাজনের মুখে পড়েছে। এসব নিয়ে দেশটির নাগরিকদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।

গত বছর ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের ফলে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়ার পর, জাতীয় ঐক্যের আহ্বান থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতাসীনরা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি, ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ এবং রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে নানা ধরনের বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।

ড. ইউনূস আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এখনও এই অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুনির্দিষ্ট নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেনি। তাই এটি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। গত সপ্তাহে, তারা বলেছে যে, ‘‘একটি দৃঢ় নির্বাচনী পরিকল্পনা ছাড়া ইউনূসের সরকারকে সমর্থন অব্যাহত রাখা ‘কঠিন’ হবে।”এছাড়া সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও গত সপ্তাহে এ বছরের শেষের দিকে নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

এদিকে গত বছরের ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের ফলে জন্ম নেওয়া ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) জোর দিয়ে জানায়, নির্বাচনের জন্য মূল সংস্কার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
শেখ হাসিনার পতনের পর ইউনূস সরকার যে ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার অগ্রগতি ধীর গতিতে হচ্ছে। ছয়টি সংস্কার প্যানেলের সমন্বয়ে সরকার একটি সাত সদস্যের জাতীয় ঐক্য কমিশন (এনসিসি) গঠন করে।

এনসিসি জানায়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের প্রথম দফার সংলাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার এবং বিচারিক স্বাধীনতার মতো কিছু পরিবর্তনের প্রতি ব্যাপক সমর্থন দেখিয়েছে। কিন্তু তীব্র মতবিরোধের কারণে সাংবিধানিক সংস্কার, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণের মতো জটিল প্রস্তাবগুলোর পরিণতি অনিশ্চিত করে তুলেছে। আসছে জুনের প্রথম সপ্তাহে সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু হবে।

বাংলাদেশের অস্থিতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি জনগণের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক এবং রাজনৈতিক কর্মীদের ক্রমবর্ধমান রাজপথের বিক্ষোভ রাজধানী ঢাকার মতো প্রধান শহরগুলোতে জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছে।
আইন-শৃঙ্খলার অবনতিতে দ্রুতই যদি রাজনৈতিক সমঝোতা না হয় তাহলে যেকোনো সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে – এমন উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

চলতি মে মাসে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতের নির্বাচনে দলটি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। এতে নির্বাচন ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্র নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে।
এই সিদ্ধান্তের পর দলটি সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ড. ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা যুদ্ধাবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

এরপর একটি ফেসবুক পোস্টে, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ এই সংকটের জন্য ‘ইউনুসের প্রতিশোধের রাজনীতি’কে দায়ী করেন।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

অবশেষে চালকবিহীন ট্যাক্সি চালু করলো টেসলা

  আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ স্বচালিত গাড়ির ভবিষ্যৎ অবশেষে বাস্তবে রূপ নিচ্ছে টেসলার হাত ধরে। রোববার থেকে টেক্সাসের অস্টিন শহরে সীমিত পরিসরে শুরু...