Your Ads Here 100x100 |
---|
গত সপ্তাহে কাঠমান্ডুতে ভারত-নেপাল আন্তঃসরকার বাণিজ্য ও পরিবহন কমিটির (আইজিসি) দুই দিনের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নেপাল থেকে এই বৈঠকের নেতৃত্ব দেন দেশটির শিল্প, বাণিজ্য ও সরবরাহ মন্ত্রণালয়ের সচিব গোবিন্দ বাহাদুর কার্কি, এবং ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য সচিব সুনীল বার্থওয়াল।
উভয় দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে বৈঠকে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
এর মধ্যে নেপালের পূর্ব সীমান্ত কাকাড়ভিট্টা থেকে ভারতের ফুলবাড়ি হয়ে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা পর্যন্ত ট্রানজিট ব্যবস্থা সহজ করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নেপালের অনুরোধে, ভারত ফুলবাড়ি থেকে কাকাড়ভিট্টা-বাংলাবান্ধা রুট দিয়ে ‘কার্গো-ইন-ট্রানজিট’-এর অনুমোদন দিয়েছে”।
এক্ষেত্রে ভারতের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রণালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ‘টু-এক্সেল’ যানবাহনের জন্য সর্বোচ্চ ‘এক্সেল’ ওজন ১৮ দশমিক পাঁচ টন এবং ‘থ্রি-এক্সেল’ যানবাহনের জন্য সর্বোচ্চ ওজন ২৮ টন হতে পারবে।”
এতদিন কাকড়ভিট্টা থেকে বাংলাদেশে যাওয়া নেপালি ট্রাকের সর্বোচ্চ ওজন ১৯ টনের বেশি হতে পারবে না বলে বিধান ছিল।
নেপালি কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীরা আশা করছেন যে নতুন ব্যবস্থাটি তাদের সম্মতি অনুযায়ী শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে।
এর সুবিধা কী?

বৈঠকে নেপালের পক্ষে নেতৃত্বদানকারী দেশটির বাণিজ্য সচিব কার্কি বলেছেন, এই চুক্তি নেপাল এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও সহজ করবে।
তিনি গনমাধ্যম কে বলেছেন , “এটি এখন থেকে নেপাল এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য অনেক সহজ করবে। আমরা আরো অনুরোধ করেছি, যাতে এই রুটে পরিবহন আরও সহজ করা যায়। আমরা এতেও ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।”
ন্যাফা (নেপাল ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন) এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নরেশ কুমার আগারওয়াল বলেছেন, এই চুক্তি দীর্ঘদিনের দাবির সমাধান করেছে।
তিনি বলেন, “এখন থেকে আমাদের (নেপাল) ট্রাক এবং ভারতীয় রাস্তায় ভারতীয় ট্রাকের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এর আগে ভুটান এই ধরনের সুবিধা পেয়েছিলো। আমরা বলছিলাম যে আমাদেরও একই সুবিধা থাকা উচিত।”
“এতে করে নেপাল থেকে রপ্তানি বা বাংলাদেশ থেকে আমদানির সময় পরিবহন খরচ কমবে। এর ফলে পণ্যের দাম কমবে, যার সুবিধা ভোক্তারাও পাবেন,” তিনি যোগ করেন
ফেডারেশন অফ নেপালিজ চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির অধীনে স্থল পরিবহন ও যোগাযোগ কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্যবসায়ী, প্রকাশ সিং কার্কি, বলেছেন যে নতুন চুক্তিটি বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সহজ করতে সাহায্য করবে।
এই চুক্তি বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার বাণিজ্যকে আরো তরান্বিত করবে এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।