28.4 C
Dhaka
শনিবার, জুলাই ৫, ২০২৫

কুবিতে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রদলের একাংশের হামলা

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের একাংশের নেতা-কর্মীরা সাংবাদিকদের ওপর মসৃণভাবে (‘মব কায়েম করে’) ‘সাংবাদিকদের আগে মার’ স্লোগান দিয়ে হামলা চালিয়েছে। ওই নেতাকর্মীরা শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভর অনুসারী বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন সূত্রের তথ্যে জানা যায়, ২৮ মে বুধবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কনসার্টে মার্কেটিং বিভাগ ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় দুই ছাত্রদল কর্মী সাদেক সরকার ও সাখাওয়াত অরন্যকে এক পাশে নিয়ে যান মোস্তাফিজুর রহমান শুভ। এ সময় দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি চৌধুরী মাছাবিহ্ এবং দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি আবু শামা শুভকে প্রশ্ন করলে শুভ সাংবাদিক আবু শামাকে ধাক্কা দেন।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাফায়েত সজল সাংবাদিকদের প্রশ্ন করতে বাধা দেন। এছাড়া শুভর নির্দেশে ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী উপস্থিত সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। ‘সাংবাদিকদের আগে মার’ বলে ধাক্কা দিয়ে তাঁদের মুক্তমঞ্চ থেকে গোলচত্বরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলায় বাংলা বিভাগের ১৫তম ব্যাচের সাইফুল মালেক আকাশ, ইংরেজি বিভাগের ১৬ ব্যাচের জহিরুল ইসলাম জয়, মার্কেটিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের তাওহিদ রহমান সাকিব ও তাজওয়ার তাজসহ ২০-২৫ জন অংশ নেয়।

দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি চৌধুরী মাছাবিহ্ ও দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের আকাশ আল মামুন হামলার শিকার হন। ভিডিও ফুটেজ নেওয়ার চেষ্টা করলে চৌধুরী মাছাবিহ্ এর মোবাইল ছাত্রদল কর্মী সাইফুল মালেক আকাশ ছুঁড়ে ফেলে দেয়। এছাড়া মার্কেটিং ছাত্রদল কর্মী তাওহিদ রহমান সাকিব সাংবাদিকদের ওপর মারমুখী ভাবে ধাক্কা দেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক চৌধুরী মাছাবিহ্ বলেন, “আমি পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রশ্ন করলে শুভ আমাকে ভিডিও বন্ধ করতে বলেন। তাঁর কর্মী আমাকে ধাক্কা দিয়ে মোবাইল টান দিয়ে ফেলায় ডিসপ্লে ভেঙে যায়।”

আবু শামা বলেন, “আমি মোস্তাফিজুর রহমান শুভকে প্রশ্ন করতে গেলে আমাকে ধাক্কা দেন এবং তাঁর কর্মীরা আমার ওপর হামলা চালায়।”

অপরদিকে, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেন, “পিছনে মারামারি হচ্ছিলো, আমরা সামলাতে গিয়েছিলাম। শিক্ষকদের নির্দেশে আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম। যেই শিক্ষার্থী মারছিল, তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল।”

শিক্ষকরা ছাত্রদলকে বিষয়টি সামলাতে বলেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ড. শরীফুল করীম ও ছাত্র পরামর্শক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব এই নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে ড. শরীফুল করীম এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আমার না। আমি কাউকে এসব করার জন্য দায়িত্ব দেইনি। আমার কাজ ছিল অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সমন্বয়।”

সাংবাদিকদের ওপর হামলার নির্দেশ বা প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ অস্বীকার করে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “যদি কেউ হামলা করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এম এম শরীফুল করীম বলেন, “সাংবাদিকদের কাজ সংবাদ সংগ্রহ করা। সেখানে এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়।”

প্রক্টর অধ্যাপক আবদুল হাকিম বলেন, “আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।”

এই ঘটনায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

মোহাম্মদ সিরাজের দুই বলে রুট-স্টোকস আউট, ইতিহাসে নাম লেখালেন ইংলিশ অধিনায়ক

  স্পোর্টস ডেস্ক: এজবাস্টন টেস্টে ব্যাট হাতে হতাশ করলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় দিনে প্রথম বলেই আউট হয়ে...