বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে ফারুক আহমেদকে আর ‘কন্টিনিউ’ করতে চান না অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করে সিদ্ধান্তের বিষয়ে দুই একদিন সময় নিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি। তবে ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার আগেই নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানিয়েছেন, পদত্যাগ করছেন না তিনি।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে এমনটিই জানিয়েছেন ফারুক।
তিনি বলেছেন, ‘(স্পোর্টস) উপদেষ্টা আমাকে পদত্যাগ করতে বলেনি। তবে বলেছে তারা চায় না আমি আর কন্টিনিউ করি। কিন্তু আমি পদত্যাগ করছি না। যেহেতু আমি নির্বাচিত একজন বোর্ড সভাপতি।
ফারুকের ঘটনার কানাঘুষার মধ্যেই শোনা যায়, বিসিবির নতুন সভাপতি হতে যাচ্ছেন আরেক সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার সঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টার কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ষেঞ্চুরিয়ান। তিনি বলেছেন, ‘এক সপ্তাহ আগে ক্রীড়া উপদেষ্টা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে।
জানান, বাংলাদেশের হয়ে এক ভূমিকায় কাজ করতে আসতে বলেন। তার প্রস্তাবে আমি রাজি হই। বিসিবির যেকোনো ভূমিকায় দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আমি।’
ফারুকের স্পষ্ট সিদ্ধান্তের বিপরীতে সামনে কী ঘটবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে যদি হস্তক্ষেপ করা হয় তাহলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে বাংলাদেশ।
কেননা এর আগে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণেই আন্তুর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা।