Your Ads Here 100x100 |
---|
নানা জল্পনা-কল্পনা এবং নাটকীয়তার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফের হোয়াইট হাউজে ফিরছেন ট্রাম্প।তার এই প্রত্যাবর্তনের দিকে দৃষ্টি আজ সারা বিশ্বের। আজ ২০ ই জানুয়ারী নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।ঘন্টাব্যাপি নানা বর্নিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই শপথ গ্রহন প্রক্রিয়া, যাতে অংশ নেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধান ও তাদের প্রতিনিধিরা।এছাড়াও ইলন মাস্ক, মুকেশ আম্বানি সহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যাক্তিরা।

শপথ গ্রহনের পর নির্বাচনী প্রচারনায় দেয়া নানা প্রতিশ্রুতি পূরণের কাজ শুরু করবেন ট্রাম্প যা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ২০১৭ সালের ক্ষমতা গ্রহনের মত এবারো ক্ষমতা গ্রহনের পরপরই নানা নির্বাহী আদেশ জারি করবেন ট্রাম্প এমনটাই জানা যাচ্ছে নানা সূত্র হতে।নির্বাহী আদেশে যায়গা পেতে পারে এমন বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে হচ্ছে আলোচনা।
১. গনপ্রত্যাবাসন কর্মসূচি
যুক্তরাষ্টের অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য দুঃসপ্ন হয়ে আসছেন ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারনায় তিনি জানিয়েছিলেন মার্কিন ইতিহাসের বৃহত্তম গণপ্রত্যাবাসন কর্মসূচি শুরু করবেন তিনি। নিউইয়র্কের এক সমাবেশে তিনি বলেন, প্রথম দিনেই অপরাধী অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে। এরই প্রেক্ষিতে মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য ভীর করেছে হাজারো অভিবাসন প্রত্যাশি।

২. ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িতদের সাধারন ক্ষমা
যেই ক্যাপিটল হিলে আজ শপথ নিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প সে একই ক্যাপিটল হিলে ২০২১ সাল বাইডেনের শপথ গ্রহনকালে হামলা করে ট্রাম্পের সমর্থকরা। যা নিয়ে বেশ কয়েকটি অভিযোগ গঠন করা হয় যাতে মোট অভিযুক্ত হাজারেরও বেশী মানুষ। ধারনা করা হচ্ছে ট্রাম্প আসনে বসেই নির্বাহী আদেশে ওই হামলায় অভিযুক্তদের সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করবেন।
৩. শুল্ক আরোপ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো ও কানাডার সব পন্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারেন ট্রাম্প।যদিও এটি নিয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদেরা। যদিও সেই সতর্কবার্তা কতটুকু আমলে নেবেন রাজনৈতিক ট্রাম্প সেটিই এখন দেখার পালা।

৪. ট্রান্সজেন্ডার ও লিঙ্গ-সম্পর্কিত নীতি
ট্রান্সজেন্ডারদের খেলাধুলায় অংশগ্রহন এবং লিঙ্গ পরিচয় নিশ্চিতের নীতি বাতিল করতে পারেন ট্রাম্প এমনটাই আলোচনা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে। তবে এ নিয়ে বিরোধিতা করছেন ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার নিয়ে কাজ করা বেশ কিছু সংগঠন।
৫. যুদ্ধ প্রশমনের পররাষ্ট্র নীতি
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারনার অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিলো যুদ্ধ প্রশমনের পররাষ্ট্র নীতি। ইউক্রেন-রাশিয়া ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিনে চলা যুদ্ধ বন্ধে কাজ করবেন এমনটাই আশা দিয়েছেন ট্রাম্প। আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা গ্রহনের আগেই এ বিষয়ে তৎপর হতে দেখা গেছে ট্রাম্পকে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিরতি এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের নমনীয়তা এমনটাই ইংগিত দিচ্ছে। তবে ক্ষমতার আসনে বসে কোন নীতিতে হাটবেন ট্রাম্প তা দেখতে অপেক্ষায় বিশ্ববাসী।
রাজনৈতিক অঙ্গনে “পাগলাটে” আখ্যা পাওয়া ট্রাম্প মার্কিন প্রশাসনেও আনতে পারেন বড় রদবদল।

সর্বোপরি হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন মার্কিন নীতিতে কি কি পরিবর্তন আনবে আর কিইবা থাকছে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে তা জানা যাবে সহসাই।