নিজ দেশের বিরুদ্ধে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ: গাজায় গণহত্যা করছে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট গাজায় চলমান যুদ্ধে দেশটির বর্তমান নেতৃত্বের নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থেকে আর ইসরায়েলকে রক্ষা করতে পারবেন না।

২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ওলমার্ট গাজায় ১১ সপ্তাহের মানবিক সহায়তা অবরোধ এবং বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানির ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘যদি এটা যুদ্ধাপরাধ না হয়, তবে আর কী?’

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার ডানপন্থী মন্ত্রীদের কর্মকাণ্ডকে ‘পাগলামি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েল যেভাবে অভিযান চালাচ্ছে তা ‘সীমাহীন, নিষ্ঠুর এবং অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের অংশ’।

ওলমার্ট আরও জানান, আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরলেও তার মতে এই যুদ্ধ এক বছর আগেই শেষ হওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি আর এই যুদ্ধকে ন্যায্যতা দিতে পারছি না।’

হারেটজ পত্রিকায় প্রকাশিত উপ-সম্পাদকীয়তে তিনি সরাসরি উল্লেখ করেছেন, ‘গাজায় যা চলছে তা ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ, যেখানে বেসামরিক জনগণ নির্বিচারে নিহত হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এই সামরিক অভিযান বাড়ালে গাজায় সাধারণ মানুষের মৃত্যু বেড়ে যাবে, যা ইসরায়েলের স্বার্থে নয়।’

ওলমার্ট সরকারের দ্রুত ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অধিকাংশ ইসরায়েলি জনগণ এই সরকারের নীতিতে ক্লান্ত। এটি দেশের নৈতিক ভিত্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’

জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ ইসরায়েলি যুদ্ধবিরতির পক্ষে, যা আটক ৫৮ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করার পথ খুলে দিতে পারে। যদিও নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হামাস পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।

ওলমার্টের মতে, যুদ্ধ থামানোর একমাত্র উপায় মার্কিন হস্তক্ষেপ। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই একমাত্র ব্যক্তি যিনি নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ বন্ধে বাধ্য করতে পারেন।

তথ্যসূত্র: সিএনএন