| Your Ads Here 100x100 |
|---|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে শান্তি আলোচনা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন। তার দাবি, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সম্ভাব্য দ্বিতীয় দফা শান্তি আলোচনার আগেই রাশিয়ার পক্ষ থেকে একটি ‘স্মারকলিপি’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও সেটি এখনও কেউ দেখেনি।
“তাদের যে তথাকথিত স্মারকলিপির কথা বলা হয়েছিল, তা এক সপ্তাহ ধরে প্রস্তুত বললেও আজ পর্যন্ত ইউক্রেন, আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদার, এমনকি আয়োজক দেশ তুরস্কও তা পায়নি,” বলেন জেলেনস্কি।
জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, প্রথম ইস্তাম্বুল অধিবেশনে তিনি সরাসরি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুতিন অংশ না নেওয়ায় তিনিও যাননি এবং কিয়েভ থেকে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছিল।
বিপরীতে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানিয়েছেন, মস্কো একটি স্মারকলিপি প্রস্তুত রেখেছে, যেখানে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানের রূপরেখা রয়েছে। তিনি সোমবার ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় দফা সরাসরি আলোচনার প্রস্তাবও দিয়েছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলছেন, রাশিয়ার আলোচনার আগ্রহ নতুন আশার সঞ্চার করেছে। “আমরা শান্তির জন্য আমাদের কূটনৈতিক শক্তি ব্যবহার করছি,” বলেন তিনি।
ওয়াশিংটন থেকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় পক্ষকে আলোচনার জন্য চাপ দিচ্ছেন এবং ইস্তাম্বুল বৈঠক এগিয়ে যাবে বলে আশা করছেন।
তবে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়া এখনও কিয়েভের পক্ষ থেকে ইস্তাম্বুল আলোচনায় যোগদানের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পায়নি।
ইউক্রেনীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিওরহি তিখি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে তারা (রাশিয়া) ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করছে এবং স্মারকলিপিতে এমন কিছু রেখেছে যা অবাস্তব আলটিমেটাম হতে পারে।”
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা meanwhile জানান, রাশিয়ার প্রতিনিধিদল প্রথম দফার মতোই থাকবে। যার মধ্যে থাকবেন রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা, শীর্ষ কূটনীতিক, সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
জেলেনস্কির অভিযোগ ও রাশিয়ার প্রতিশ্রুত স্মারকলিপি ঘিরে এখন কূটনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। আলোচনার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে দুই দেশের সদিচ্ছা ও বাস্তব পদক্ষেপের উপর।
