| Your Ads Here 100x100 |
|---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করে প্রায় ৭ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতিসংঘ। বাজেট সংকট মোকাবিলায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
রয়টার্স-এর হাতে আসা একটি অভ্যন্তরীণ স্মারকলিপি অনুযায়ী, জাতিসংঘ সচিবালয় ২০২৫ সালের জন্য নির্ধারিত ৩.৭ বিলিয়ন ডলারের বাজেটের ২০ শতাংশ কমাতে চাইছে। এতে ৬ হাজার ৯০০ জন কর্মী ছাঁটাইয়ের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৩ জুনের মধ্যে প্রত্যেক বিভাগকে কর্মীদের তথ্য ও কাঠামোগত বিশ্লেষণ জমা দিতে হবে। এরপরই শুরু হবে মূল্যায়ন ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া।
জাতিসংঘের দীর্ঘদিনের তহবিলদাতা যুক্তরাষ্ট্রের অনাগ্রহ ও বকেয়া পরিশোধে বিলম্ব এই সংকটের অন্যতম প্রধান কারণ। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘকে বার্ষিক প্রায় এক-চতুর্থাংশ তহবিল দিয়ে থাকে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই অর্থায়নে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের ঘাটতি।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সাহায্য হ্রাস পাওয়ার প্রভাব পড়ে জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রমে। দেশটির চলতি অর্থবছরের ও পূর্ববর্তী সময়ের মিলে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে।
জাতিসংঘের বাজেট ও প্রশাসনসংক্রান্ত পরিচালক চন্দ্রমৌলি রামানাথনের লেখা স্মারকলিপিতে বলা হয়, ছাঁটাই পরিকল্পনা ‘ইউএন৮০’ নামে একটি নতুন কাঠামোগত সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ। এটি মার্চ মাস থেকে শুরু হয়েছে এবং ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
এই সংস্কারে জাতিসংঘের বিভিন্ন বিভাগ একীভূত করা, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো, অনুলিপির সংখ্যা হ্রাস এবং অপ্রয়োজনীয় আমলাতন্ত্র কমিয়ে আনা হবে।
এই মাসের শুরুর দিকে জাতিসংঘ কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস বলেন, “আমি একটি বড় সংস্কারের পরিকল্পনা করছি, যেখানে কিছু সংস্থা একীভূত করা হতে পারে, কিছু বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে এবং কর্মীদের কম ব্যয়ের শহরে স্থানান্তর করা হতে পারে।”
তিনি বলেন, “এটা শুধু অর্থ সাশ্রয়ের জন্য নয়, বরং জাতিসংঘকে আরও কর্মক্ষম ও টেকসই কাঠামোতে রূপান্তরের প্রক্রিয়ার অংশ।”
এই ঘোষণায় জাতিসংঘের অভ্যন্তর ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ছাঁটাইয়ের পরিণামে সংস্থার মানবিক ও উন্নয়নমূলক কাজগুলো ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
