Your Ads Here 100x100 |
---|
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার সাধারণ মানুষের যাতায়াত ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য দীর্ঘ এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংগালপাড়া মেঘনা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতু নির্মাণ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবী, সেতুটির কাজ কিছুটা জমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে বিলম্বিত হলেও বর্তমানে তা ভালো গতি ধরে এগোচ্ছে। ২৬টি পিলারের মধ্যে ১৬টির নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং মোট সেতুর ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী বছরের শুরুতে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা রয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর ১৭৭ কোটি ২৩ লাখ ৫১ হাজার ১০৮ টাকা ব্যয়ে তমা কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে।
অষ্টগ্রাম উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মো: মনির হোসেন বলেন, “সেতু নির্মাণের আগে ঢাকা বা অন্য কোনো জেলায় যেতে তিন ঘণ্টার পরিবর্তে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগত। সেতু হলে সময় মাত্র ৩০ থেকে ৪০ মিনিটে আসবে। এতে আমাদের সুবিধা অনেক বেশি হবে।”
অন্যদিকে, একই এলাকার মো: আনিছুর রহমান বলেন, “আমরা ভাটি অঞ্চলের মানুষ। রোগী নিয়ে ঢাকায় যেতে আমাদের চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। এই সেতু হলে সময় কমে দুই থেকে তিন ঘণ্টা হবে। এতে আমাদের কৃষিজাত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার সুযোগ বাড়বে।”
অষ্টগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ রেজাউল হক জানান, “জমি অধিগ্রহণ ও স্থানীয় প্রতিবন্ধকতার কারণে কিছুটা বিলম্ব হলেও সেতুর কাজ এখন দ্রুত গতি পাচ্ছে। আগামী বছরের শুরুতে কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।”
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম বলেন, “অষ্টগ্রামের বাংগালপাড়ায় নির্মাণাধীন এই সেতু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও অষ্টগ্রামের মানুষের যাতায়াত সহজ করবে। এর ফলে জেলা শহর ও হাওর অঞ্চলের মানুষ রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সড়ক পথে সারাবছর যোগাযোগ করতে পারবে। এখন পর্যন্ত হাওর অঞ্চলের মানুষ লঞ্চ বা ট্রলারে এক রাত যাপন করে গ্রামে ফিরতেন। সেতু নির্মাণের ফলে কৃষি পণ্য ও মিঠা পানির মাছের ন্যায্যমূল্য বাড়বে এবং কৃষকদের জীবনমান উন্নত হবে।”