| Your Ads Here 100x100 |
|---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
উক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে আগামী সোমবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, “যে আলোচনায় অংশগ্রহণের আগ্রহ রয়েছে, তার জন্য রাশিয়ার পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট প্রস্তাবনা প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত না হলে আলোচনায় অংশগ্রহণের কোনো অর্থ নেই।” গত ১৬ মে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা আলোচনায় কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি, শুধুমাত্র বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়েছে।
মার্কিন সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম, যিনি কিয়েভ সফর করেছেন, রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেছেন, “যদি রাশিয়া শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।” তিনি বলেন, “পুতিন শান্তি প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছেন, যা রাশিয়ার জন্য ক্ষতিকর হবে।” এদিকে, রাশিয়া ইস্তাম্বুলে আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে তাদের শর্ত হলো পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করুক।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রিই সিবিহা বলেছেন, “রাশিয়ার প্রস্তাবনা না পাওয়া পর্যন্ত আলোচনায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত না হলে আলোচনায় অংশগ্রহণের কোনো অর্থ নেই।”
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, “ইস্তাম্বুলে আলোচনার জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেন শক্তিশালী প্রতিনিধি দল পাঠাবে, যা শান্তি প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে।” তিনি আরও বলেন, “তিনটি দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেন—একত্রে আলোচনায় বসলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।”
এদিকে, রাশিয়ার জাতিসংঘ মিশনের রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, “যদি পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ না করে, তাহলে যুদ্ধবিরতি সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন, “রাশিয়া শান্তি চায়, তবে শর্তসাপেক্ষে।”
এই পরিস্থিতিতে, ইউক্রেনের অবস্থান স্পষ্ট—যতক্ষণ না রাশিয়া স্পষ্ট প্রস্তাবনা দেয় এবং যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আলোচনায় অংশগ্রহণের কোনো পরিকল্পনা নেই।
সূত্র: রয়টার্স
