Your Ads Here 100x100 |
---|
ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা নিয়মনীতি উপেক্ষা করে শ্রেণিকক্ষে না গিয়েই নিচ্ছেন সরকারি বেতনভাতা।
গত ১৫ মে একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল এবং কয়েকটি দৈনিকে “ভোলায় প্রাথমিকের শিক্ষকরা ক্লাসে উপস্থিত না থেকেও বেতন ভাতা পাচ্ছেন” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু অভিযোগ ওঠার পরও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।
গত ১৯ মে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে গঙ্গাপুর আলমবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কোনো শিক্ষক উপস্থিত নন। কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ, শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে রয়েছে বাইরে। স্থানীয় একজন বলেন, “এই ঘটনা নতুন কিছু না। কয়েকদিন ঠিক থাকবে, তারপর আবার আগের মতোই চলবে।”
২৮ মে বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে ৭০ নম্বর পশ্চিম দেউলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও তালা ঝুলতে দেখা যায়। অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষকের প্রভাবের কারণে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
একই চিত্র দেখা যায় ২৯ মে দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে ৫৩ নম্বর দক্ষিণ দেউলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। সেখানে কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থীই উপস্থিত ছিল না, এমনকি বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয়নি।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে তথ্য সংগ্রহকালে একাধিকবার তদবির ও চাপের মুখেও পড়তে হয়েছে প্রতিবেদককে।
এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুল হাসান বলেন, “আমি বিষয়টি তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের শোকজ করেছি। সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, “আপনাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে তদন্ত শুরু করেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সচেতন মহলের প্রশ্ন—এত অভিযোগ ও প্রমাণ সত্ত্বেও এখনো কি টনক নড়বে না প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার দায়িত্বপ্রাপ্তদের?