Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নতুন তথ্য দিয়েছেন আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামি।
সামি তার ফেসবুক পেজে এক বিস্তারিত পোস্টে সুব্রত বাইনের কার্যকলাপ, তার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পারাপার ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, সুব্রত বাইন দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ পাসপোর্ট ব্যবহার করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে অবাধে চলাফেরা করেছে।মোহাম্মদ আলী ছদ্মনামে নেওয়া বিশেষ পাসপোর্ট ব্যবহার করে তিনি ২০০১ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পারাপারে অন্তত ৩২ বার ইমিগ্রেশন সীল পান।
বিশ্বস্ত সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ সালের ২ আগস্ট তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বিশেষ উদ্দেশ্যে ইস্যু করা ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করে সুব্রত বাইন ৮ অক্টোবর ২০০১ সর্বপ্রথম বাংলা বান্ধা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। এরপর প্রায় তিন বছর পর্যন্ত নিয়মিত ভারতে গমনাগমন চালিয়ে আসেন।
সূত্রের দাবি, সুব্রত বাইন এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে কয়েকটি টার্গেট কিলিং কার্যকর করেন। ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশে উলফা, ইউনাইটেড লিবারেশন অফ নাগাল্যান্ড ও পাকিস্তান ভিত্তিক মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) বাংলাদেশ শাখার নেতাদের হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করেন।
২০০৩ সালে ঢাকায় মোহাম্মদপুরে এক বাড়িতে হামলা চালিয়ে নাগাল্যান্ডের স্বাধীনতাকামী বম সম্প্রদায়ের এক নেতার স্ত্রী ও সাত বছরের সন্তানকে হত্যা করেন। এর পরপরই পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত মোস্তাকিম কাবাবের মালিক মোস্তাকিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৪ পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করে সুব্রত, একই মাস বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এরপর এই পাসপোর্টে আর কোনো ভিসা বা বহির্গমন সীল পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ, ২০০৭ সালের ১৪ মে মোহাম্মদ আলী নামে নতুন একটি ভারতীয় পাসপোর্ট তার কাছে ইস্যু করা হয়।