Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে করোনাভাইরাসে নতুন করে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শনিবার প্রকাশিত ‘কোভিড-১৯ ড্যাশবোর্ড’-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত দিল্লিতে করোনায় মোট তিনজনের মৃত্যু হলো।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ৬০ বছর বয়সী নারী, যিনি পেটের অস্ত্রোপচারের পর গুরুতর অন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর দেহে করোনা শনাক্ত হয়। অপরজন ৭১ বছর বয়সী পুরুষ, যিনি নিউমোনিয়া, সেপটিক শক এবং তীব্র কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত ছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই রোগীর মৃত্যু ছিল একটি জটিল সংক্রমণের চূড়ান্ত পরিণতি।
বর্তমানে নয়াদিল্লিতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৭৫। শুক্রবার থেকে নতুন করে আরও ৮১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে দায়ী অমিক্রনের নতুন উপধারা—জেএন.১, এলএফ.৭ ও এনবি১.৮, যা দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
করোনার এই হালকা ঢেউ মূলত কেরালা, মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও তামিলনাড়ু রাজ্যে বেশি ছড়াচ্ছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা মৃদু উপসর্গে ভুগছেন এবং গুরুতর জটিলতার আশঙ্কা কম।
সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী, সর্দি, গলাব্যথা, জ্বর বা কাশির মতো উপসর্গ থাকলে ঘরে থেকেই সঙ্গনিরোধে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৬০ বছরের বেশি বয়সী, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভোগা বা যারা এখনো টিকা নেননি—তাঁদের আরও সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোয়া ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধিগুলো আবার মেনে চলা জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বিলম্ব না করার কথাও বলা হয়েছে।