| Your Ads Here 100x100 |
|---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
বাংলাদেশে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়েই চলছে রাজনৈতিক জোর আলোচনা। যদিও সরকার থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পাননি, তবুও কমিশন তার নিজস্ব উদ্যোগে নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছে।
একদিকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সীমানা নির্ধারণ ও নতুন দল নিবন্ধনের মতো কাজ শুরু হলেও অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশে ইসির ভেতরে অনিশ্চয়তা ও দ্বিধা দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “রোডম্যাপ প্রকাশের জন্য এখনই সঠিক সময় কি না, তা নিশ্চিত নই। তবে প্রাথমিক কাজগুলো আমরা এগিয়ে নিচ্ছি।”
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বিগত কমিশন রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিল। এবার নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময় ঠিক না হওয়ায় নতুন রোডম্যাপ ঘোষণায় দেরি হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, জুন-জুলাইয়ের মধ্যে রোডম্যাপ প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।
নির্বাচনী রোডম্যাপের মধ্যে থাকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইন-বিধি সংস্কার, সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস, নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ, পর্যবেক্ষক নিবন্ধনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য না হলে রোডম্যাপের কাজ আটকে যেতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান ঐকমত্য আলোচনা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দলগুলোর সমন্বয় ছাড়া নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিও সঠিকভাবে কার্যকর হবে না।
সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “আমরা প্রস্তুতিই নেবো, লক্ষ্য থাকবে ভোট হবে। তবে বড় কোনো পরিবর্তন এলে আবার সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা সংশোধন করতে হবে।”
সরকারি ও রাজনৈতিক স্তরের অনিশ্চয়তার মাঝেও ইসি নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে, তবে শেষ মুহূর্তে সবকিছু ঠিক হবে ঐকমত্য ও রাজনৈতিক পরিবেশের ওপর।
