25 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫

প্রথম দিনেই অভিবাসী তাড়ানোর হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আজ শপথ নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসনব্যবস্থার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করবেন বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প । নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেওয়া এই মূল প্রতিশ্রুতিটি দ্রুত পূরণ করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। ক্ষমতা গ্রহণের এক দিন আগে গতকাল রোববার ওয়াশিংটনে এক সমাবেশে ট্রাম্প হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ক্যাপিটাল ওয়ান এরিনাতে আয়োজিত ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ বিজয় সমাবেশে সমবেতদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘কাল সূর্যাস্তের সময় থেকে আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ থামবে।’

মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভীড়
মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভীড়

 

নির্বাচনী প্রচার চলার সময় ট্রাম্প বারবারই বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হলে তিনি অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন তৎপরতা শুরু করবেন। এই পদক্ষেপের আওতায় লাখ লাখ অভিবাসীকে বিতাড়িত করা হবে। তবে ওই মাত্রায় অভিবাসনবিরোধী অভিযান চালাতে গেলে কয়েক বছর লেগে যাবে এবং খরচও গুনতে হবে অনেক বেশি।

গতকাল ট্রাম্প বলেন, “এটা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক আন্দোলন। ৭৫ দিন আগে, আমরা ঐতিহাসিক রাজনৈতিক বিজয় অর্জন করেছি। আমাদের দেশ কখনো এমনটা দেখেনি। আগামীকাল থেকে, আমি ঐতিহাসিক শক্তি প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নেব এবং আমাদের দেশের প্রতিটি সংকটের সমাধান করব।“

নির্বাচনী প্রচার চলার সময় ট্রাম্প বলে

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে এটি ওয়াশিংটনে দেওয়া ট্রাম্পের প্রথম বড় কোনো সমাবেশ। ক্যাপিটল হিলের সেবারের ভাষণের পর ট্রাম্পের সমর্থকেরা ক্যাপিটল হিলে হামলা চালাতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। এবার ট্রাম্প বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দেড় হাজারের বেশি মানুষকে সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করে নির্বাহী আদেশ জারি করবেন।

আজ সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ভাষণ দেবেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প কী কী পরিকল্পনা করছেন, তার আভাস তিনি ওই ভাষণে দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গ্রিনল্যান্ড ও পানামা খাল দখল এবং কানাডাকে একটি মার্কিন রাজ্যে পরিণত করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। আর তা বিদেশি মিত্রদের হতভম্ব করেছে।

আজ স্থানীয় সময় দুপুরে দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ‘বাইডেন প্রশাসনের প্রতিটি উগ্র ও নির্বোধ নির্বাহী আদেশ’ বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের পরিকল্পনার ব্যাপারে জানাশোনা আছে এমন একটি সূত্র বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে সোমবার ট্রাম্প ২০০টির বেশি নির্বাহী পদক্ষেপ নেবেন।

আরেকটি সূত্র বলেছে, ট্রাম্প প্রথম যেসব নির্বাহী আদেশ দেবেন, সেগুলোর মধ্যে সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে, মাদক চক্রগুলোকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দেওয়া, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা এবং ‘মেক্সিকোতে থাকুন’ নীতি পুনর্বহালের দিকে অগ্রসর হওয়া। ‘মেক্সিকোতে থাকুন’ নীতির আওতায় মেক্সিকোর নন, এমন আশ্রয়প্রার্থীরা মার্কিন আদালতের তারিখ পেতে সেখানেই অপেক্ষায় থাকবেন।

সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীরা

ট্রাম্পের বিতাড়ন পরিকল্পনাগুলো অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। তাঁরা বিতাড়িত হওয়ার আশঙ্কায় আছেন। অভিবাসীদের পক্ষে সোচ্চার থাকা অনেকে বলছেন, এর মধ্যে এমন কিছু অভিবাসী আছেন, তাঁরা আইন মেনে চলেন, দীর্ঘমেয়াদি বাসিন্দা ও তাঁদের স্বামী/স্ত্রীর মার্কিন নাগরিকত্ব ও সন্তান আছে।

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আজ ক্যাপিটল ভবনের একটি কক্ষে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। অনুষ্ঠানটি বাইরে আয়োজন করার কথা থাকলেও শীতকালীন আবহাওয়ার কারণে পরে তা ভেতরে আয়োজন করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ২৫ হাজার সদস্য অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

শেখ হাসিনা ফিরে এলে জনগনই ব্যবস্থা নিবে- বিএনপি মহাসচিব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ফ্যাসিবাদী চরিত্র নিয়ে শেখ হাসিনা আবারো ফিরে...