বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ৯টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন সংলগ্ন কবির সরণি থেকে এ মিছিল শুরু হয়। এতে ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদী, এজিএস প্রার্থী সাজ্জাদসহ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। এ সময় তারা ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না, মানব না’, ‘জাকসু বয়কট’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে জাবি ছাত্রদল শাখার আহ্বায়ক জহিরউদ্দিন বাবর বলেন, শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, “আজ সকালে আমাদের পোলিং এজেন্টরা হলে গেলে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে। মেয়েদের জাহানারা ইমাম হল, বঙ্গমাতা হলসহ বিভিন্ন হলে ব্যালট পেপার নিয়ে গিয়ে জাল ভোট দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ মদদে ছাত্রশিবিরকে অতিরিক্ত ব্যালট সরবরাহ করা হয়েছে। ছাত্রী সংস্থাকে দিয়েও কারচুপি করানো হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “অবিলম্বে নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। আগামীকাল আমরা নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি জমা দেব। পাশাপাশি যেসব প্যানেল ভোট বয়কট করেছে, তাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন চালানো হবে।”
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। পরে আরো অন্তত চারটি প্যানেল ও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী একই অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেন।