Your Ads Here 100x100 |
---|
বরগুনার আমতলীর ইসমাইল শাহ মাজারে বার্ষিক ওরস চলাকালে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে মাজারের ভেতরের সামিয়ানা ও দুইটি বৈঠকখানা পুড়ে গেছে এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত পৌনে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনা সোমবার (১৭ মার্চ) মধ্যরাতে ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় ২৮তম ওরস শুরু হয়। রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে শতাধিক মানুষ এসে ওরস বন্ধ করার অনুরোধ করেন। মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরস বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানান, ফলে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এরপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জানিয়েছেন, “আমরা কাউকে বিরক্ত করিনি। ওরস চলছিল, কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের নেতৃত্বে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। আমি এ ঘটনায় মামলা করব।”
এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদকে ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, “তারাবির নামাজের সময় ওরস চলছিল, এরপর একটি পক্ষ মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেয়। আমরা খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। আইনগত ব্যবস্থা পুলিশের মাধ্যমে নেওয়া হবে।”
আমতলী থানার ওসি আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, “আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি, তবে মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”