Your Ads Here 100x100 |
---|
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে ১১ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ পর্যালোচনা করে সুপারিশ দিতে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার।
কমিটিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্ম কমিশনের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখার একজন উপসচিব।
মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটার প্রয়োগ পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। প্রয়োজনে কমিটি অন্য সদস্যদের কো-অপ্ট করতে পারবে।
গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে কোটার সংস্কার দাবি ওঠে, যা পরে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ জুলাই তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার মেধায় ৯৩ শতাংশ এবং কোটায় ৭ শতাংশ নিয়োগের নিয়ম রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
তবে এরপরেও আন্দোলন থামেনি। পরে ওই আন্দোলন এক দফা সরকার পতনের দাবিতে রূপ নেয় এবং গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, “সরকার পরিবর্তনের পর সরকারি চাকরিতে কোটা প্রয়োগ নিয়ে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাই বিষয়টি স্পষ্ট করতে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।”