| Your Ads Here 100x100 |
|---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রে পাসপোর্টে লিঙ্গ পরিচয় সংক্রান্ত নীতির বিরুদ্ধে ট্রান্সজেন্ডার ও নন-ব্যাইনারি নাগরিকদের করা এক মামলায় আদালত ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বোস্টনের ফেডারেল বিচারক জুলিয়া ই. কোবিক এই মামলাকে ক্লাস অ্যাকশন হিসেবে ঘোষণা করেছেন, যা এখন সব ট্রান্সজেন্ডার পাসপোর্ট আবেদনকারীদের ওপর প্রযোজ্য হবে।
এই মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি নতুন নীতিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, যেখানে নাগরিকদের পাসপোর্টে কেবলমাত্র জন্ম সনদে উল্লেখিত “জৈবিক লিঙ্গ” অন্তর্ভুক্ত করার নিয়ম চালু করা হয়। বিচারক কোবিক এর আগেও এক আদেশে জানান, এই নীতি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অনুযায়ী সমান অধিকার লঙ্ঘন করে এবং এটি ট্রান্সজেন্ডার নাগরিকদের বিরুদ্ধে “অযুক্তিক ও বৈষম্যমূলক মনোভাবের” ভিত্তিতে প্রণীত।
সরকার পক্ষ বলেছে, সঠিক জৈবিক লিঙ্গ উল্লেখ করা পাসপোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই নীতি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হয়, যাতে “অপরিবর্তনীয় জৈবিক শ্রেণিবিন্যাস” অনুসরণ করার নির্দেশ ছিল।
তবে মামলার বাদী পক্ষ বলেছে, পাসপোর্টে প্রকৃত লিঙ্গ পরিচয় না থাকলে তারা প্রায়শই সন্দেহ ও হুমকির মুখে পড়েন। কেউ কেউ এমনকি ‘এক্স’ জেন্ডার চিহ্ন ব্যবহার করতে চাওয়ার পর তা বাতিল হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হন।
বিচারক কোবিক বলেন, এই ধরনের মানসিক আঘাত ও নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ টাকার ক্ষতিপূরণ দিয়ে পূরণ করা যায় না। মামলাটি এখনো চলমান, তবে এই রায় ট্রান্সজেন্ডার অধিকার আন্দোলনে একটি বড় বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
