গাজীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক মোল্লাহ অস্ত্রসহ আটক

গাজীপুর, ৬ নভেম্বর — আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়া এনামুল হক মোল্লাহকে (৪৮) অস্ত্রসহ আটক করেছে যৌথ বাহিনী। একই অভিযানে তার ছয় সহযোগীকেও আটক করা হয়।

বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত শ্রীপুর উপজেলার বরকুল গ্রামে এনামুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আটক এনামুল হক মোল্লাহ কে?

এনামুল হক মোল্লাহ শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের প্রয়াত আবদুল আহাদের ছেলে। তিনি বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সৌদি আরবের মক্কা মিছফালাহ শাখা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
বিএনপির দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন, এবং এলাকায় পোস্টার-ব্যানারে প্রচারণা চালান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একাধিক মামলার আসামি হয়ে ২০১৭ সালে নাম পরিবর্তন করে সৌদি আরব চলে যান তিনি। নতুন নামে পাসপোর্টে তার নাম ছিল আব্দুল্লাহ আল মামুন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে ফেরেন তিনি।

অভিযান ও উদ্ধার

শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী এনামুলের বাড়িতে অভিযান চালায়।
তার তথ্য অনুযায়ী পরবর্তী অভিযানে বরমী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে ছয় সহযোগীকে আটক করা হয়।

আটকরা হলেন:
শওকত মীর, জাহিদুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, সিদ্দিকুর রহমান, বুলবুল ও তোফাজ্জল।

উদ্ধার করা হয়:

• ২টি পিস্তল

• ৩টি ম্যাগাজিন

• ৪ রাউন্ড গুলি

• ৪টি ওয়াকিটকি

• ৪টি বেটন

• ২টি ইলেকট্রিক শক মেশিন

• ১টি হ্যামার নেল গান

• ১টি ছুরি

ওসি জানান, ঘটনার বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

দুই পক্ষের দাবি

এনামুলের ছোট ভাই আশরাফুল মোল্লাহ বলেন,

“গাজীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় এনামুল হক মোল্লাহকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।”

অন্যদিকে, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন,

“এনামুল হক মোল্লাহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ২০০১ সালে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।”