Your Ads Here 100x100 |
---|
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোক্তার হোসেন। এদিন বেলা ১২ টার দিকে কামাল আহমেদ মজুমদারকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন বিচারক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ২৫ আগস্ট জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য প্রদত্ত সকল আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। স্থগিতকৃত লাইসেন্সভুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দানের নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ তারিখের মধ্যে কোন অস্ত্র ও গোলাবারুদ থানায় জমা না দেওয়া হলে তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য করে অস্ত্র আইনে মামলা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামি কামাল আহমেদ মজুমদার তার দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র নিজে অথবা অন্য কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে বনানী থানায় বা অন্য কোন থানায় জমা দিয়েছেন কিনা সে বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায় নাই। এ বিষয়ে থানাকে অবহিতও করেন নাই। তার অস্ত্রের লাইসেন্সে উল্লেখিত ঠিকানায় উপস্থিত হয়ে বাসায় কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনের ১৯(১) ধারায় কামাল আহমেদ মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বনানী থানার এসআই (নিরস্ত্র) মো. জানে আলম দুলাল।
গত বছরের ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে কামাল আহমেদ মজুমদারকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে বিভিন্ন হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় রিমান্ড ভোগ শেষে কারাগারে আছেন তিনি।