Your Ads Here 100x100 |
---|
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি এবং সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাকক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়।
সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসির সপ্তম কমিশন সভা এটি। সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন বৈঠকে।
এ সভার আলোচ্য সূচির মধ্যে রয়েছে- রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫; সংসদীয় আসনের সীমানা সংক্রান্ত এবং বিবিধ।
গত ১২ মে জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে সরকার। সংসদের ৭৫টি আসনের সীমানা পুনরায় নির্ধারণে এখন পর্যন্ত ৬০৭টি আবেদনও পেয়েছে ইসি।
সংসদ নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ৩০০ আসনের সীমানার খসড়া প্রকাশ করে থাকে ইসি। এ খসড়া প্রস্তাবের ওপর দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে চূড়ান্ত সীমানার গেজেট প্রকাশ করা হয়।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ইতোমধ্যে বলেছেন, এ পর্যন্ত ৬০৭টি আবেদন জমা পড়েছে। ৭৫টি আসনের পুনর্বিন্যাস চেয়ে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে এসব আবেদন করেছেন। এসব আবেদন নিয়ে গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে কমিটি পর্যায়ে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ভোটের সময় আচরণবিধিতে প্রচারের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ ও সোশ্যাল মিডিয়া তদারকিসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব রয়েছে খসড়া আচরণবিধিতে।
এ বৈঠকে দুটি বিষয় ছাড়াও বিবিধ বিষয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এপ্রিলের প্রথমার্ধে করার বিষয়ে ৬ জুন প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ এবং ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে ভোটের বিষয়ে যৌথ ঘোষণার পর এটি কমিশন সভা হতে যাচ্ছে।
সরকারের সঙ্গে আলোচনা না হলে নির্বাচনের তারিখ বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে না তুলে ধরে এর আগে সিইসি বলেছেন, ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের যে সময়েই নির্বাচন হোক না কেন নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি রয়েছে।
গত ১৫ জুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে হোক বা এপ্রিলের হোক- জাতীয় নির্বাচন যখনই হোক, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আগে আমাদের বলা হয়েছিল ডিসেম্বর থেকে জুন, আমরা সে সময় মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছি ও এগিয়ে যাচ্ছি।