Your Ads Here 100x100 |
---|
এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তে একাধিক ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তে একাধিক ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন, যা সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে গভীরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই মাইনগুলো মূলত মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মি বসিয়েছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী ও লেম্বুছড়ি সীমান্ত পয়েন্টে পৃথক ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে তিনজন বাংলাদেশি গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন আলী হোসেন (৩৬), মো. হোসেন (৩২), এবং রাসেদুল ইসলাম রাসেল (২৫)। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারা সীমান্তে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় মাইন বিস্ফোরণে আক্রান্ত হন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি সীমান্তে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রেখেছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো শত্রুপক্ষকে বাধাগ্রস্ত করা। তবে এর ফলে নিরীহ মানুষ প্রাণহানির শিকার হচ্ছেন।
ল্যান্ডমাইন স্থাপন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে। বাংলাদেশ সীমান্তের এমন ঘটনাগুলো মিয়ানমারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয়।
সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ এই ঘটনায় আতঙ্কিত । ল্যান্ডমাইনের কারণে তাদের দৈনন্দিন জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ সরকার এই ইস্যুতে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর কথা বলছে। একই সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিষয়টি উত্থাপন করার পরিকল্পনা করছে।

বাংলাদেশকে মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিতে হবে।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন নিয়ে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করা নিতে হবে।
সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাইন চিহ্নিত ও অপসারণের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা শুধু দুই দেশের নয়, বরং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যও একটি বড় হুমকি। এই সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।