Your Ads Here 100x100 |
---|
গতকাল রাতে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির পক্ষে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সংঘর্ষের সূত্রপাত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি থেকে, যার মধ্যে রয়েছে:
নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার ফল প্রকাশ।
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ।
নিয়মিত ক্লাস ও সঠিক সময়ে পরীক্ষা আয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকারের নিশ্চয়তা।
সাত কলেজের জন্য আলাদা প্রশাসনিক ভবন স্থাপন।
এই দাবিগুলোর প্রেক্ষিতে সায়েন্সল্যাব মোড়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ শুরু করেন। তবে, ঢাবি শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এ ধরনের অবরোধ তাদের ক্যাম্পাসের কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, যা পরবর্তীতে সংঘর্ষে পরিণত হয়।
সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মিরপুর রোড অবরোধ করে এবং আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। অন্যদিকে, ঢাবি শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি জানালে উত্তেজনা আরও বাড়ে। এ ঘটনায় বেশকএক জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের দাবিগুলো উপেক্ষিত হচ্ছে। তাই, বাধ্য হয়ে তারা রাস্তায় নেমেছেন। তাদের মতে, ঢাবি কর্তৃপক্ষের প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালনের অভাব এবং অব্যবস্থাপনার কারণেই তারা ক্ষুব্ধ। অন্যদিকে, ঢাবি শিক্ষার্থীরা বলেন, সাত কলেজের সমস্যাগুলো তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, অথচ এ ধরনের অবরোধ তাদের দৈনন্দিন শিক্ষাজীবনে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান (ভিসি মামুন) সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে। উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। আমরা এমন পদক্ষেপ নেব যাতে সকল শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষাজীবনে কোনও বিঘ্ন না ঘটে।” ভিসি আরও বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছি এবং এ সংকট সমাধানে কাজ করছি।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সংঘর্ষ থামাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করেন। তবে, তিনি শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হন।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। . ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাত কলেজের জন্য একটি আলাদা প্রশাসনিক ইউনিট গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে। উভয় পক্ষকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেন ক্যাম্পাসে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অপ্রতুল দিকগুলোর প্রতিফলন। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি পূরণের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করা এখন সময়ের দাবি।
গতকাল রাতে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির পক্ষে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সংঘর্ষের সূত্রপাত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি থেকে, যার মধ্যে রয়েছে:
নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার ফল প্রকাশ।
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ।
নিয়মিত ক্লাস ও সঠিক সময়ে পরীক্ষা আয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকারের নিশ্চয়তা।
সাত কলেজের জন্য আলাদা প্রশাসনিক ভবন স্থাপন।
এই দাবিগুলোর প্রেক্ষিতে সায়েন্সল্যাব মোড়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ শুরু করেন। তবে, ঢাবি শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এ ধরনের অবরোধ তাদের ক্যাম্পাসের কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, যা পরবর্তীতে সংঘর্ষে পরিণত হয়।
সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মিরপুর রোড অবরোধ করে এবং আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। অন্যদিকে, ঢাবি শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি জানালে উত্তেজনা আরও বাড়ে। এ ঘটনায় বেশকএক জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।

সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের দাবিগুলো উপেক্ষিত হচ্ছে। তাই, বাধ্য হয়ে তারা রাস্তায় নেমেছেন। তাদের মতে, ঢাবি কর্তৃপক্ষের প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালনের অভাব এবং অব্যবস্থাপনার কারণেই তারা ক্ষুব্ধ। অন্যদিকে, ঢাবি শিক্ষার্থীরা বলেন, সাত কলেজের সমস্যাগুলো তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, অথচ এ ধরনের অবরোধ তাদের দৈনন্দিন শিক্ষাজীবনে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান (ভিসি মামুন) সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে। উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। আমরা এমন পদক্ষেপ নেব যাতে সকল শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষাজীবনে কোনও বিঘ্ন না ঘটে।” ভিসি আরও বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছি এবং এ সংকট সমাধানে কাজ করছি।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সংঘর্ষ থামাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করেন। তবে, তিনি শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হন।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। . ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাত কলেজের জন্য একটি আলাদা প্রশাসনিক ইউনিট গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে। উভয় পক্ষকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেন ক্যাম্পাসে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অপ্রতুল দিকগুলোর প্রতিফলন। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি পূরণের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করা এখন সময়ের দাবি।
