28 C
Dhaka
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

আইসিডিডিআরবির হাজারেরও বেশি কর্মী চাকরি হারালেন, আর্থিক সংকটে সংস্থার ভবিষ্যত অনিশ্চিত

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক দ্য হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইসিডিডিআরবি (International Centre for Diarrhoeal Disease Research, Bangladesh) সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, তাদের এক হাজারেরও বেশি কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এই পদক্ষেপটি প্রতিষ্ঠানটির জন্য একটি বড় ধাক্কা, বিশেষ করে যখন তারা স্বাস্থ্য গবেষণা ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পে ব্যাপক পরিমাণে অবদান রাখছে।

চাকরি হারানোর কারণ আইসিডিডিআরবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রধান কারণ আর্থিক সংকট এবং প্রোজেক্ট ফান্ডের অভাব। আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় দাতব্য সংস্থা থেকে প্রাপ্ত অনুদানে চলতে থাকা এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ফান্ডিং সংকট দেখা দিয়েছে, যা তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কর্মীদের উপর প্রভাব এই পরিস্থিতির ফলে বিপুল সংখ্যক দক্ষ পেশাজীবী তাদের কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। চাকরি হারানো কর্মীরা মূলত স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান এবং গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতেন। তাদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে আইসিডিডিআরবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কাজ করেছেন।

এই ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে এবং প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিছু কর্মী প্রতিষ্ঠানটির অর্থনৈতিক সংকটের সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আইসিডিডিআরবির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া আইসিডিডিআরবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে নতুন ফান্ডিং ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করছে, তবে তা একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া হতে পারে। আইসিডিডিআরবি তাদের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার কাজ অব্যাহত রাখতে এবং সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যত আইসিডিডিআরবি একটি আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা ডায়রিয়া এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের প্রতিকার নিয়ে কাজ করছে। তবে, এই সংস্থার জন্য আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সহজ হবে না, এবং এটি ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। এই সংকট কাটানোর জন্য আইসিডিডিআরবির কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কিনা, তা সময়ই বলে দেবে।

এখন, দেশের স্বাস্থ্য গবেষণা ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন আসতে পারে, যদি প্রতিষ্ঠানটি তার গবেষণা কার্যক্রমে অর্থায়ন এবং প্রশাসনিক সমর্থন পুনরুদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

কী অবস্থা মাগুরার সেই শোকার্ত গ্রামটির।

প্রায় আট দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে পরাজিত হওয়া মাগুরার আট বছর বয়সী শিশুটির বাড়িতে এখনো শোকের ছায়া।...