30.7 C
Dhaka
শনিবার, আগস্ট ২, ২০২৫

উল্টে যায় যান, বৃষ্টির পানি সড়ক উপচে দোকানে

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

খবরের দেশ ডেস্ক:

নালা নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে ভুগছেন সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার লোকজন। সামান্য বৃষ্টিতেই ওই এলাকার সড়কগুলো তলিয়ে যায়। পানি ঢুকে যায় মার্কেটের দোকানেও। এ ছাড়া গর্তে পড়ে উল্টে যায় যানবাহন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি না সরানোয় তারা কাজ করতে পারছেন না। এলাকাবাসী এ জন্য ঠিকাদারের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় পানি নিষ্কাশনে গত বছর নালা নির্মাণের উদ্যোগ নেয় নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। সে জন্য মোগরাপাড়া ফুট ওভারব্রিজ থেকে শহীদ মজনু পার্ক পর্যন্ত ৭২৬ মিটার নালা নির্মাণ ও গুরুত্বপূর্ণ চারটি জায়গায় আরসিসি ঢালাইয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর কার্যাদেশ পায় হাসমত অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নালা তৈরিতে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় কার্যাদেশ পাওয়ার পর গত ১৭ জানুয়ারি কাজ শুরু করে তারা। জুনের মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা ছিল।

নির্মাণকাজের শুরু থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় লোকজন। তাদের ভাষ্য, সড়ক থেকে প্রায় দুই ফুট উঁচু করে নালা নির্মাণ চলছে। আশপাশের এলাকার পানি নামার কোনো পথই রাখা হয়নি। যে কারণে বৃষ্টির পানি সড়ক উপচে মার্কেট ও দোকানপাটে ঢুকে পড়ছে। এ ছাড়া সড়কে জমে থাকা কাদামাটির কারণেও ভোগান্তিতে পড়েন।

আইয়ুব প্লাজার কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে মানুষ চরম ভোগান্তিতে আছেন। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে পুরো এলাকা তলিয়ে যায়। মানুষ চলাচল করতে পারেন না।

সড়কের পাশেই দোকান রহমত ম্যানশনের কসমেটিকস ব্যবসায়ী রাসেল মিয়ার। তিনি বলেন, বৃষ্টির পানি সড়কে উপচে তাঁর দোকানে চলে আসছে। ফলে মালপত্র নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা আর পানি শুকালে কাদামাটির কারণে তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।

হাসমত অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী হাসমত আলী হাসু বলেন, নালা তৈরির কাজ শেষের দিকে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতের চারটি খুঁটি না সরানোর কারণে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। খুঁটিগুলো সরালেই কাজ শেষ করবেন।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সোনারগাঁ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. খোরশেদ আলম গতকাল সোমবার বলেন, খুঁটি সরানোর জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বৃষ্টির কারণে সরানো যাচ্ছে না। দুই-এক দিনের মধ্যে খুঁটিগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে।

জলাবদ্ধতার কারণে স্থানীয় লোকজনের দুর্ভোগের ঘটনাকে দুঃখজনক বর্ণনা করে নারায়ণগঞ্জ সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, নির্মাণকাজের পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে আবেদন করা হয়েছে।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

ঝালকাঠিতে বিলের তদবির করতে এসে জনতার হাতে আটক ২ শিক্ষার্থী

খবরের দেশ ডেস্ক : ঝালকাঠিতে বিলের তদবির করতে এসে জনতার হাতে আটক হয়েছেন দুই শিক্ষার্থী। পরে তাদের পুলিশে দেওয়া হলে...