Your Ads Here 100x100 |
---|
যশারের শার্শায় বাড়ির সামনে দিয়ে মাটি বােঝায় ট্রাকটার যেতে বাধা দেওয়ায় ৩ জনকে পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে শার্শা জামতলার টেংরা গ্রামে।
আহতরা হলেন টেংরা গ্রামের মৃত নূর মােহাম্মাদের ছেলে মোতালক হােসেন (৩৫), রমজান আলির ছেলে রানা হােসেন (২৮) ও হযরত আলীর ছেলে ইস্রাফিল হােসেন (৩৪)। আহত মােতালেব ও রানাকে তাদের স্বজনরা উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এর মধ্য মােতালেব হােসেনের অবস্থা আশংকাজনক। খবর শুনে শার্শা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ঘটনায় জামতলা বাজার ও টেংরা গ্রামে থমথম অবস্থা বিরাজ করছে। যে কােন মুহূর্তে আবারাে সংঘর্ষ বাধতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জামতলা বাজার ব্যবসায়ী ও টেংরা গ্রামের সাধারণ মানুষ ।
এ ঘটনায় আহত মােতালেব হােসেনের বড় ভাই আব্দুল খালেক লাল্টু বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে শার্শা থানায় একটি অভিযােগ দায়ের করেছে।
থানায় অভিযােগে আসামীরা হলেন টেংরা গ্রামের হযরত আলী তরফদারের ছেলে ইস্রাফিল হােসেন (৩৪), আব্দুল জলিলের ছেলে সুমন হােসেন (২৫), মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মিষ্টি সফিকুল ইসলাম (৪০), বাবু বিশ্বাস (৪৫), আব্দুর রউফ মাষ্টারের ছেলে সফিকুল ইসলাম (৪৫) ও মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে জিম হাসান (৩৫)।
সূত্র ও অভিযোগে জানাগেছে, অভিযুক্ত আসামীরা জামতলা টেংরা গ্রামের মােজাম বিশ্বাসের নিকট থেকে গজালির বিল ২০ বিঘা জমির ঘের কাটানার শর্তে মাটি ক্রয় করে। আসামীরা শনিবার সকালে ট্রাকটার নিয়ে ঐ জমির মাটি কাটতে যায়। এ সময় আহত মােতালেব সহ প্রায় শতাধিক গ্রামবাসী তাদের বাড়ির সামনে রাস্তা দিয়ে মাটি বাহি ট্রাকটার যেতে বাধা দেয়। এই ঘটনায় রাগ উত্তেজিত হয়ে আসামীরা জামতলা বাজার এসে অবস্থান নেয়। এর কিছুক্ষণ পর মােতালেব মােটরসাইকেল যােগে জামতলা বাজারে আসলে অভিযুক্ত আসামিদের উপস্থিতিতে ইইস্রাফিল ও সুমন প্রতিবাদকারী মােতালবের মােটরসাইকেল থামিয়ে তাকে বেপরোয়া পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম ও আহত করে। এ সময় ঠেকাত গেলে মােতালবের সাথে থাকা রানাকেও পেটায় তারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম জানান, জামতলার ঘটনা শুনে তখনই সেখানে পুলিশ পাঠানাে হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি বলেন এ ব্যাপারে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযােগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধী যেই হােক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।