Your Ads Here 100x100 |
---|
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুইদিন ফল আমদানি বন্ধ থাকার পর পুনরায় ফল আমদানি শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে বেনাপোলসহ সারা দেশের শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ ছিল। এর ফলে সরকারের প্রায় একশ কোটি টাকার রাজস্ব আয় কম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরে ফল আমদানি শুরু হয়েছে। দুপুর ১২ টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত ৪০ ট্রাক ফল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে যেসব খাদ্যদ্রব্য আমদানি হয় তার বেশির ভাগই ফল।
দেশে ফলের চাহিদা মেটাতে এবং সাধারণ ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে আমদানিকারকরা আজ থেকে আবারও ফল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমদানি খরচ বেশি হওয়ায় দাম বাড়িয়েছেন খোলা বাজারের বিক্রেতারা।গত দুইদিন ফল আমদানি বন্ধ থাকায় ইতোমধ্যে বাজারে কেজিতে ফলের দাম বেড়েছে ৫০-৭০ টাকা পর্যন্ত। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আগে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আদায় করত। এতে করে কেজিপ্রতি ফলে সরকারকে ১০১ টাকা রাজস্ব দিতে হতো। গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন এক নির্দেশনায় ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে। সেক্ষেত্রে কেজিপ্রতি শুল্ককর ১৫ টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৬ টাকা।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির মহাসিন মিলন বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত দুইদিন ফল আমদানি বন্ধ থাকায় দেশের বাজারগুলোতে ফলের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্য বৃদ্ধি রোধে এবং সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে ব্যবসায়ীরা আবার ফল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ফল আমদানিকারকদের দাবি। বর্ধিত শুল্ক আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার না করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ রাখবে বলে তারা জানিয়েছে।
বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন জানান, গত দুইদিন(মঙ্গলবার, বুধবার) ফল আমদানি বন্ধের পর আজ দুপুর ১২টা থেকে বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ফল আমদানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রায় ৭০ ট্রাক ফল বেনাপোল স্থল বন্দরে প্রবেশ করেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে খালাস প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু হবে।