Your Ads Here 100x100 |
---|
৫ আগস্টের পর থেকে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বেড়েছে অপরাধ। সন্ত্রাসী কার্যক্রম, রাজনৈতিক-সামাজিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতি সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ,রাজশাহী, খুলনা সহ দেশেরবড় শহরগুলোতে চাঁদাবাজি, খুন, চিন্তাই এবং রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে খুন, চিন্তাই, চাঁদাবাজি, ককটেল বিস্ফোরণের মতো ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা সন্ত্রাসী প্রবণতার বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ এবং সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যায়। রাজনৈতিক দলের নেতাদের মাঝে দ্বন্দ্ব এবং বিরোধিতার কারণে দেশব্যাপী সহিংসতার মাত্রা বেড়েছে- যা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে- যারা দেশের নিরাপত্তা বাহিনী ও জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়। জামিনে মুক্তি পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা এই সময়ে তাদের কার্যক্রম আরও বাড়িয়েছে।
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট তিনটি ককটেল উদ্ধার করে, যা সন্ত্রাসী হামলার প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে- যা দেশের স্থিতিশীল পরিবেশের জন্য হুমকি।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর তিন মাসের মধ্যে ১২০০টির বেশি খুনের ঘটনা থানায় রিপোর্ট করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে সম্পর্কিত মামলার সংখ্যা হাজার খানেক- যেখানে অনেক মামলায় প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নিরাপত্তা বাহিনীকে আরও সক্রিয় করা হয়েছে। সরকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে কঠোরতার পরিচয় দিয়েছে। সম্প্রতি পরিচালিত ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ জনমনে স্বস্তি নিয়ে আসবে এই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের।