- Advertisement -
| Your Ads Here 100x100 |
|---|
খবরের দেশ ডেস্ক :
নির্বাচন সময়মতো না হলে পরিস্থিতি গৃহযুদ্ধের দিকে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ‘জনতার দলে’র আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামীম কামাল। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে সর্বত্র অস্থিরতা বাড়ছে। এর কারণ নির্বাচন। এটা একটা টেস্ট কেস।
মনে করেন আজকে সারা দেশে আপনি স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিলেন। এই ঘটনা আজকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঘটছে, প্রত্যেকটা ইউনিয়নে ঘটতে শুরু করবে। যেখানে নির্বাচন দেবেন সেখানেই প্রবলেমটা হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে ক্ষমতায় যাওয়ার মই।
সবাই ক্ষমতায় যেতে চায়। ক্ষমতার মজা অসাধারণ। এটা তো আর ৫০ সালের বাংলাদেশ না, এটা ৭০ সালের বাংলাদেশ না, ৯০ সালের বাংলাদেশ না। এখন সবাই অনেক বেশি বিচক্ষণ।
ক্ষমতায় গেলে সিট বরাদ্দ থেকে শুরু করে চাঁদাবাজিসহ সবকিছুতে মজা আছে। এটা আমি এককভাবে কোনো দলের দিকে ইঙ্গিত করে বলছি না। স্বাভাবিকভাবে ছাত্রদের কাজ লেখাপড়া করা। কিন্তু পৃথিবীর ১৫০০ ইউনিভার্সিটির মধ্যে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। এখানে কয়টা রিসার্চ হয়, এখানে ভিসি নিয়োগ হয় কিভাবে।
’ শামীম কামাল বলেন, ‘আমি চীনেও ছিলাম। ওখানেও স্টুডেন্ট ফোরাম আছে। তবে তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষা, লেখাপড়া এই ধরনের উন্নয়নমূলক কাজে শুধু জড়িত। নো পলিটিক্স, কোনো প্রয়োজন নাই তো। এই যে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা হয়েছে। এখন কিন্তু জিনিসটা অনেকটা স্ট্যাবল হতে যাচ্ছিল। তার মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনগুলো, মানে আগুনের মধ্যে ঘি ঢালার মতো অবস্থা। আপনি আজকে অন্য জায়গায় যান, অন্য যেকোনো সংস্থায় আজকে নির্বাচন দেন একই ঘটনা ঘটবে। সুতরাং আমি মনে করি, নির্বাচন এই অর্ন্তদ্বন্দ্বের মূল কারণ।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো নির্বাচনই না দেওয়া। যদি নির্বাচন এই সময়ের মধ্যে না হয়, তাহলে দেশে ভয়াবহ পরিণতি হবে। এটা সিভিল ওয়ারের দিকে যেতে পারে। আমরা এখন একটা কঠিন জায়গায় দাঁড়িয়ে— অ্যাট দ্য ব্রিংক অব এ ডিজাস্টার।’

