- Advertisement -
| Your Ads Here 100x100 |
|---|
খবরের দেশ ডেস্ক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মন্তব্য করেছেন, শেখ হাসিনা কিছু কিছু ক্ষুদে স্বৈরাচার রেখে গেছেন। তিনি বলেন, “জনগণের সমর্থন নিয়ে সংসদে আইন পাস করাটাই প্রকৃত গণতন্ত্র। যদি কেউ দাবি না মানলে নির্বাচন বা আন্দোলন বন্ধ রাখার কথা বলে, তাহলে সেটি অগণতান্ত্রিক।”
৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে জনঅধিকার পার্টি আয়োজিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ১ম বর্ষ যুগপৎ আন্দোলন শরিক দল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, “ঐতিহাসিকভাবে বিপ্লবোত্তর দেশের মধ্যে যত দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেসব দেশ ভালো অগ্রগতি করেছে।”
আর যে সমস্ত দেশের বিপ্লব পরবর্তী এই ধরনের কাজ করেনি, তাদের নিজেদের মধ্যে দ্বিধা সৃষ্টি করার প্রচেষ্টায় চলছে, সেই দেশগুলোতে এখন গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশগুলোতে সমাজ বিভক্ত, সেই দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, গণতন্ত্র তো দূরের কথা। আমাদের এক বছর অলরেডি অতিরিক্ত হয়ে গেছে, যত তাড়াতাড়ি জনগণের ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততক্ষণ জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা, মুক্ত চিন্তা কিছুই থাকবে না। দিনের শেষে দেখবেন, একটা সাংঘর্ষিক জাতি হিসেবে আমরা একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ করছি।
’তিনি আরো বলেন, ‘শুধু রাজনীতিকে গণতান্ত্রিক করলে চলবেন না, অর্থনীতিকেও গণতান্ত্রিক করতে হবে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিককে অর্থনীতি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশীদার হতে হবে। কোনো একক গোষ্ঠিকে পৃষ্ঠপোষকতা করে অর্থনীতি চালানো যাবে না। অর্থনীতি সবার জন্য হতে হবে।
প্রত্যেকটি নাগরিক যেন অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন।’
আমীর খসরু বলেন, ‘প্রত্যেকটি নাগরিক যাতে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তার ভূমিকা রাখতে পারে সেই চিন্তা করছি। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নাগরিকদের যখন আয় বাড়বে তাদের জীবনযাত্রার মান বাড়বে তখনই তারা সুনাগরিক হবে। তারা ট্যাক্স দেবে। তখন ট্যাক্সের টাকা দিয়ে দাবি করতে পারবে, আমার ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এটা করা যাবে না, আমার টাকায় সেটা করা যাবে না।

