চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে পৃথকভাবে মশাল মিছিল করেছে শাখা ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাতে দুই কর্মসূচিতে দুই পক্ষই নিরাপদ ক্যাম্পাস, আহতদের চিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবি করেন।
প্রথমে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে শাখা ছাত্রদল মশাল মিছিল বের করে শহীদ মিনার হয়ে লাইব্রেরি মোড় ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা স্লোগান দেন—“আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না”, “রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়”, “আমার ভাই কোপ খায়, প্রশাসন নিয়োগ চালায়”, “এক দফা এক দাবি, প্রশাসনের পদত্যাগ চাই।”
শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে আমরা বারবার হামলার শিকার হচ্ছি। প্রধান প্রক্টর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা না দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করছেন। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, তাই প্রক্টরিয়াল বডিকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।”
শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “সাম্প্রতিক ঘটনায় দেড় হাজারের মতো শিক্ষার্থী আহত হলেও প্রশাসন তালিকা করেনি, কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপও নেয়নি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ব্যর্থ হয়ে তারা পদত্যাগ না করে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েই ব্যস্ত।”
অন্যদিকে রাত আটটার দিকে শহীদ মিনার এলাকা থেকে সচেতন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আরেকটি মশাল মিছিল বের হয়। এতে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, নারী অঙ্গনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। মিছিলটি প্রক্টর অফিসের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয় এবং সেখানে প্রতীকীভাবে লাল রঙ ছিটিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। শিক্ষার্থীদের দাবি—‘প্রক্টর রক্তখেকো’, তাই প্রতীকী রক্ত হিসেবে লাল রং ছিটিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
এ সময় তারা স্লোগান দেন—“যেই প্রক্টর আমার না, সেই প্রক্টর মানিনা”, “কোরবান তুই গদি ছাড়”, “আমার ভাই আইসিইউতে, প্রশাসন নিয়োগ বোর্ডে।”
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জশদ জাকির বলেন, “আমরা প্রশাসনকে ছয়টার মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। দাবি না মানায় প্রতীকী লাল রঙ নিক্ষেপ করে প্রতিবাদ জানিয়েছি।”
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক মোহাম্মদ আকিব বলেন, “প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েও ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করেছে। আমাদের সাত দফা যৌক্তিক দাবি রয়েছে। তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছি। পদত্যাগ না করলে এবং দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। এই আন্দোলন কোনো গোষ্ঠী স্বার্থে নয়, বরং নিরাপদ ক্যাম্পাসের জন্য।”
গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাভার সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোহাম্মদ বদরুল আলম খানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, অনিয়ম...