ভোর রাত। বারিধারার অভিজাত এলাকায় হঠাৎই পুলিশের অভিযান। সঙ্গোপনে চলছিল সীসা বারের আসর। ভেতরে ছিলেন সেই পরিচিত নাম—ক্যাসিনোকাণ্ডের সেলিম প্রধান। পুলিশের হানা খেয়ে মুহূর্তেই জমে ওঠা আড্ডা ভেঙে যায়। ধরা পড়েন সেলিম প্রধানসহ আরও আটজন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, রাজধানীর অভিজাত এলাকায় অবৈধ বারের এই কার্যক্রম চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই।
সেলিম প্রধান ‘প্রধান গ্রুপ’ নামে একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের চেয়ারম্যান। এই গ্রুপের অধীনে পি২৪ গেইমিং নামের একটি কোম্পানি আছে, যারা ওয়েবসাইটে ঘোষণা দিয়ে ক্যাসিনো ও অনলাইন ক্যাসিনোর কারবার চালিয়ে আসছিল।
২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটকের পর তার রাজধানীর গুলশান-বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়েছিল র্যাব। ওই অভিযানে ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।
ওই বাসায় দুটি হরিণের চামড়া পাওয়ায় সেলিম প্রধানকে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরদিন গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে দুটি মামলা করে র্যাব। আর দুদক পরে অবৈধ সম্পদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে। দুদকের ওই মামলায় তার ৮ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
দীর্ঘ চার বছর কারাগারে থাকার পর ২০২৩ সালের অক্টোবরে জামিনে মুক্তি পান সেলিম প্রধান।