রমজান আলী, কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অবৈধভাবে বালু রাখা ও লোড-আনলোডের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ১৮ জনকে আটক করেছে প্রশাসন। এ সময় ৯টি বলগেট, ড্রেজার মেশিন ও বিপুল পরিমাণ জমাকৃত বালু জব্দ করা হয়।
সোমবার দুপুরে উপজেলার মুছাপুর এলাকায় কয়েক ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম। অভিযানে সেনাবাহিনীর কোম্পানীগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের একটি পেট্রোল টিম এবং কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ সহযোগিতা করে।
অবৈধভাবে বালু রাখার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-নিউ মক্কা ট্রেডার্স, নোয়াখালী ট্রেডার্স, মেসার্স জেএস এসে ট্রেডার্স ও সেজান এন্টারপ্রাইজ।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, চরএলাহি, চরফকিরা ও মুছাপুর ইউনিয়নের ছোট ফেনী নদী ও বামনীয়া নদী পথে প্রতিদিন অসংখ্য বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল করে। প্রশাসনের একাধিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এসব অবৈধ বাহনের চলাচল অব্যাহত থাকে। এতে নদীর তীরে প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে বসতবাড়ি ও স্থাপনা ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ে। বাতাসে বালু উড়ে শত শত শিক্ষার্থী ও পথচারী চোখের সমস্যা ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এসবের প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় মানুষ ও সামাজিক সংগঠনগুলো একাধিকবার মানববন্ধন করে। সম্প্রতি চরএলাহী ব্রিজসহ আরও কয়েকটি স্থাপনা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন,“অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বালুর মহালগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আটক ১৮ জনকে দন্ডবিধি ১৮৬০-এর ১৮৮ ধারায় কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত বালুবাহী বলগেট, ড্রেজার মেশিন ও জমাকৃত বালু প্রশাসনের জিম্মায় রয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”